বালাগঞ্জ সিনিয়ন মৎস্য দপ্তরের চুক্তি সম্পাদন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২১, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনস্বীকার্য। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতি বছর সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হয় উপজেলা মৎস্য দপ্তরগুলো। সরকারের সেই টার্গেট বা লক্ষ্য পূরণ করতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়ন মৎস্য দপ্তর বার্ষিক কর্মসম্পাদন (এপিএ) ২০২১-২২ আর্থিক সালের চুক্তিনামা গ্রহণ করেছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে চুক্তি সম্পাদন করেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক।
সোমবার বিকেলে সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা দপ্তরের হয়ে ২০২১-২২ এর চুক্তি সম্পাদন করেন নির্মল চন্দ্র বণিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ অনুযায়ী দেশের মোট জিডিপি’র ৩.৫২ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি’র এক-চতুর্থাংশের বেশী (২৬.৩৭ শতাংশ) মৎস্য খাতের অবদান। এফএও-২০ এর তথ্যমতে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন ও বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে যথাক্রমে ৩য় ও ৫ম স্থান অধিকার করেছে। এমনকি অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দ্বিতীয়।
নির্মল চন্দ্র আরো বলেন, সরকারের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আমরা পালন করতে দিবা-রাত্রী চেষ্টা করছি করবো। বালাগঞ্জকে আগামী সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা গড়ার ক্ষেত্রে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত হইতে জাতীয় পুরষ্কার পাওয়ার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য দপ্তর। চলিত অর্থবছরে জেলার মধ্যে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশিক্ষণের দিক হতে প্রথম সারিতে রয়েছে। বালাগঞ্জে চিংড়ি, ইলিশ, পাবদা সহ নানা প্রজাতির মাছের বড় একটি সম্ভাবনাময় খ্যাত হিসেবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, বালাগঞ্জের উৎপাদিত মাছ উপজেলার প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করার লক্ষে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করি।
মৎস্য দপ্তরের তথ্য মতে বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে বালাগঞ্জের মৎস্য খ্যাতে জেলার মধ্য অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক প্রসারিত লাভ করেছে। জানা যায় বর্তমানে উপজেলা পুকুরের সংখ্যা বেড়ে সরকারি ১২টি, বেসরকারি ৩২৫০টি। সরকারি ও বেসরকারি বিল জলমহাল ১৭টি, হাওড় ৩টি, খাঁচায় মাছ চাষ ১টি, নদনদীর সংখ্যা ৩টি, বেসরকারি নার্সারি ১৮টি, জলমহাল ৪১টি, মৎস্য সমবায় সমিতি ৩৩টি, মৎস্য খাদ্য বিক্রেতা ১২টি, উন্মুক্ত জলমহাল ৪টি, বাণিজ্যিক মৎস্য খামার ২১টি যা বিগত বছরের তুলনায় তিন গুণ।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ আর্থিক সালের সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে করা চুক্তি সহি সম্পাদন শতভাগ সফল ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।