ওসমানীনগরে বোরোর বাম্পার ফলন, তবুও হাসি নেই কৃষকদের মুখে
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের ওসমানীনগরে বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বোরোর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে গত শুক্রবার রাতের অসময়ে শিলা বৃষ্টির ফলে মাঠের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে শ্রমিকের অতিরিক্ত মজুরির কারণে শ্রমিক সংকটে দিশাহারা কৃষক। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকির মাধ্যমে কম্বাইন হারবেস্টার দিলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অন্যদিকে পানি জমে থাকা ক্ষেতে মেশিনের মাধ্যমে ধানা কাটাও যায় না। সব মিলিয়ে বোরোর বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকদের মুখে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ওসমানীনগর উপজেলায় ৬ হাজার ৫শ ১৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ৬ হাজার ৬শ ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ২শ ১ মেট্রিক টন চাল। এরই মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
সাদিপুর ইউনিয়নের কৃষক ঝিষু ধর বলেন , আমি প্রায় নয় বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। ফলন ও অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে শিলা বৃষ্টির কারণে আমার ২ বিঘা জমির পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের কৃষক সালমান হোসেন বলেন,আমি এ বছর ৩৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ৩৫ বিঘা জমির ধান কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে বীঘা প্রতি ২২’শ টাকা করে কাটিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফলনও হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৩৩ মন ধান পাবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) সায়মা নাজনীন বলেন,এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৩৭টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ধান কাটছে । কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। সময়মতো প্রয়োজনীয় সার,বীজ ও কীটনাশক প্রয়োগ করায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।