কুলাউড়ায় রাতের আঁধারে দুই প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী উধাও
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মার্চ ২০২০, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
স্বামীরা থাকেন প্রবাসে। সেই সুবাধে পরকীয়া প্রেমে মগ্ন হয়ে পড়েন একই ঘরের দুই প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রীরা (দুই জা)। এজন্য প্রায়ই স্বামী ও শাশুড়ির সাথে ওই গৃহবধুদের দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ ও মনমালিন্য হতো। দুই জা একত্রে শাশুড়ি ও সন্তানদের ঘুমে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীদের মা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিশ্রি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সামাদের তিন ছেলে। তিনজনই বিবাহিত এবং দুবাইতে থাকেন। বড় ছেলে ফয়ছল মিয়ার সাথে ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কবিরাজী গ্রামের বাসিন্দা মহিব আলীর মেয়ে মাহমুদা আক্তার হেপির সাথে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী ফয়ছল মিয়ার সাথে মনমালিন্য চলে আসছে। পরে সে অভিমানে বাবার বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন পর আবারো মাহমুদা শ্বশুর বাড়ি ফিরে। এদিকে পংকী মিয়ার সাথে ৭ বছরপূর্বে বিয়ে হয় বড়লেখা উপজেলার কেছরীগুল গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মিয়ার মেয়ে মাছুমা আক্তারের। বিয়ের পর তারও স্বামীর সাথে মনিমালিন্য শুরু হয়। এমন সুযোগে মাহমুদা ও মাছুমা স্বামীর অবর্তমানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
স্বামী ও শশুড়বাড়ির লোকজনের লোক চক্ষুর আড়ালে মাহমুদা ও মাছুমা যোগসাজশ করে দুজনে বেপরোয়া চলাফেরা করতে থাকে। এমন সব কর্মকান্ডে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তাদের শাশুড়ী শরিফা বেগম। তাদের বেপোরোয়া কর্মকান্ড তাদের স্বামীদের কাছে না জানাতে শাশুড়ীকে অনুরোধ করেন। কিন্তুু শাশুড়ী বিষয়টি তাঁর ছেলেদের অবগত করলে তারা দুজনে শাশুড়ীর ওপর ক্ষেপে বসে।
ঘটনার দিন মাহমুদা ও মাছুমা তাদের শাশুড়িকে পরিমানের চেয়ে বেশি মাত্রায় ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ায়। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। মাহমুদা ও মাছুমা নিজ বাচ্চাদের ঘুমে রেখে রাতের আধারে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সাথে মাহমুদা তাঁর ১০ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে যায়। বাড়িতে রেখে যায় চতুর্থ শ্রেণী ও শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ছেলেকে। নার্সারী শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু সন্তানকে রেখে চলে গেছেন মাছুমা। সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান শাশুড়ি শরীফা বেগম। তিনি তাদের কক্ষে বাচ্চারা কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। তখন তাদের খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন তিনি। শাশুড়ী অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে কুলাউড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এদিকে ফাহমিদা ও মাছুমার বাবার বাড়িতেও খোঁজা হয়। কিন্তুু তাদের পরিবারের অভিভাবকরা জানান, তাদের বাড়িতে যায়নি তারা। পরে বিষয়টি শাশুড়ি তাঁর ছেলেদের অবহিত করলে তারা থানায় অবগত করার পরামর্শ দেয়। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে শরীফা বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।