এইচএসসি পরীক্ষার রিজাল্ট আরো খারাপ হতো!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুলাই ২০১৭, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
শাহরিয়ার রশিদ কয়ছর:
পরীক্ষার হলে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চতকরণ, সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়নসহ পরীক্ষার প্রতিটি স্তরে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা থাকলে পাসের হার আরো অনেক কম হতো বলে জানিয়েছেন কলেজের অনেক পরীক্ষক ও শিক্ষক। আরো ধস নামত জিপিএ ৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে। অনেক শিক্ষক জানিয়েছেন, সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হলে কোনো কোনো বোর্ডে পাসের হার ৫০ এর অনেক নিচে নেমে আসত। আবার সঠিক মূল্যায়ন হলে প্রকৃত পাসের হার এত কমে নেমে আসার কথা জানিয়েছেন কোনো কোনো পরীক্ষক ও শিক্ষক যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর খাতা দেখার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষকদের কথায় আবারো ফুটে উঠল শিক্ষার মান ধসের বিষয়টি।
এবার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আগের অভিযোগ না থাকলেও পরীক্ষার হলের পরিবেশ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক শিক্ষক এমনকি পরীক্ষার্থীরাও জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হলে পাসের হার ব্যাপকভাবে কমে যেত। অনেক পরীক্ষা কেন্দ্র এবং কলেজের পাসের হার বৃদ্ধির পেছনে পরীক্ষার হলে ব্যাপকভাবে অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে কলেজের পরীক্ষায় ফেল করা অনেক শিক্ষার্থী বোর্ডের পরীক্ষায় শুধু পাস নয়, অনেক ভালো ফল করেছেন। এর কারণ পরীক্ষার হলে সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল না বিভিন্ন কেন্দ্রে। বিশেষ করে গ্রামের অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের অন্যের খাতা দেখে লেখা, নকলসহ বিভিন্নভাবে অসদুপায় অবলম্বনের অবাধ সুযোগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি শিক্ষকের পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেয়াসহ যাবতীয় সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে অনেক কেন্দ্রে। এ ছাড়া কোনো কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব ঠেকানো গেলে পাসের হার অনেক কমত বলে জানিয়েছেন অনেক শিক্ষক।
একজন শিক্ষক আরো জানান, খাতা দেখার বিষয়ে আগের মতো হাত খুলে নম্বর দেয়ার নির্দেশনা এবার ছিল না এটা সত্য। কিন্তু পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বনের ব্যাপক সুযোগ রয়ে গেছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। বিশেষ করে বেসরকারি বিভিন্ন কলেজে এটি হচ্ছে। সবগুলো বিষয় নজরে নিলে এইচএসসি পরিক্ষার ফলাফল আরো বেশি খারাপ হতো দাবি করেন তিনি।