অগোচরেই থেকে যাচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচারের মূল কারণ !
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০১৭, ৫:২৪ অপরাহ্ণ
শাহরিয়ার রশিদ কয়ছর:
অর্থ জমানোর প্রবণতা মানুষের মধ্যে সেই আদিকাল থেকেই বিদ্যমান।উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং পরবর্তী প্রজন্মের সচ্ছলতা নিশ্চিত করাসহ নানা বিচিত্র কারণে মানুষের মধ্যে অর্থ জমানোর মানসিকতা গড়ে উঠেছে।আবার অর্থ জমানোই হলো অনেকের নেশা।সভ্যসমাজ ও ধর্মীয় বিধিবিধানেও এ ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।সময়ের ব্যবধানে মানুষের এই অর্থ উপার্জন ও তা জমানোর পদ্ধতিতে দেখা দিয়েছে পরিবর্তন।আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসার ঘটায় অর্থ উপার্জনে ও মজুদ করার ক্ষেত্রে দিয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।আর এরই পথ ধরে “মানি লন্ডারিং”তথা “বিদেশে অর্থ পাচার”- এর উদ্ভব যা বিগত কয়েক দশক ধরে অর্থনীতিকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে আসে অর্থ পাচারের সেই ভয়াবহ চিত্র।
গত ৩ মে(২০১৭) দৈনিক যুগান্তর “জিএফআই প্রতিবেদন :এক বছরে ৭৩হাজার কোটি টাকা পাচার” এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জিএফআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,৪টি প্রক্রিয়ায় এই অর্থ পাচার হয়েছে।এগুলো হলো: বিদেশ থেকে পণ্য আমদানী মূল্য বেশী দেখানো(ওভার ইনভয়েসিং)রফতানিতে মূল্য কম দেখানো (আন্ডার ইমভয়েসিং) হুন্ডি ও অন্য মাধ্যমে বিদেশে লেনদেন এবং ভিওআইপি ব্যবসা।
এবার একটু খতিয়ে দেখা যাক কেনো এই অর্থ পাচার।গত ৩মে (২০১৭) তারিখে চ্যানেল আই অনলাইন ভার্সনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো “যে কারণে বিদেশে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশী টাকা”প্রতিবেদনের একেবারে শুরুতেই বলা হয় “অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের বিচার না হওয়া,নিরাপত্তার অভাব,কোন কোন ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা, মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি এবং বিদেশের উন্নত জীবনের লোভের কারণেই বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখানে অবাক হবার কিছু নেই, কারণ অপরাধের বিচার না হলে অপরাধ বাড়বে এটাই নিয়ম।
দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় গত ৬মে (২০১৭) তারিখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শিরোনাম ছিলো “আইসিএএফসির গভীর উদ্ধেগ : হাজার কোটি টাকা পাচার।
বিগত দিনে অর্থ পাচার নিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক গুলো লেখালেখি করেছে কিন্তু কোন ফল হয় নি।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ করতে হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।