সিলেটে শিশু ও তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২১, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক শিশু ও আরেক তরুণী।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই তরুণী মঙ্গলবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মনসুর আলীকে (২২) গ্রেফতার করেছে। সে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর নতুন বস্তি গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার পুত্র।
তরুণীর ভাষ্য, সম্পর্কে তার মামাতো ভাই মনসুরের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকেই মনসুর বিভিন্ন সময় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। গত ২১ জুলাই মনসুর ফোনে তাকে বলে, টুকেরবাজার এলে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করবে। তরুণীর দাবি, সরল বিশ্বাসে মনসুরের কথা মতো পরিবারের কাউকে না জানিয়ে টুকেরবাজার আসে। এরপর মনসুর তাকে পার্শ্ববর্তী বউবাজারে তার এক আত্মীয়ের বাসায় তোলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাতে ওই বাসায় রেখে ধর্ষণ করেন মনসুর।
পরদিন সকালে মনসুর জানায়, ঈদের কারণে কাজী অফিস বন্ধ। ঈদের পর কাজী অফিস খুললে তাকে বিয়ে করবে। এরপর মনসুর আর যোগাযোগ না করায় গত সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে তার সঙ্গে দেখা করেন তরুণী। এসময় মনসুর জানায়, সে বিয়ে করতে পারবে না। তরুণীর দাবি, বিয়ের আশ্বাসে দুই বছরে বেশ কয়েকবার মনসুর তাকে ধর্ষণ করেছে।
এসব ঘটনা তিনি পরিবারকে জানালে তারা মনসুরের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মনসুরের পরিবার বিয়েতে সম্মতি না দিলে মঙ্গলবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় তরুণী মামলা করেন।
অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে বেড়াতে এসে সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। গত ২৩ জুলাই ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শফিক মিয়া (২০) গোয়াইনঘাট উপজেলার বগাইয়া হাওর (দক্ষিণপাড়া) এলাকার আব্দুল মোমেনের পুত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাটের উপরগ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম শিশুটি (৭) তার মামার সঙ্গে মামার শশুরবাড়ি রায়পুর গ্রামের শুকুর আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। একই বাড়িতে বন্ধুর আমন্ত্রণে বেড়াতে আসে অভিযুক্ত শফিক। ২৩ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে সুযোগ বুঝে শফিক শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে হাতে নাতে শফিককে ধরেন।