দালাল আমারে দোজখের মধ্যে পাঠাইছে, সৌদিতে হবিগঞ্জের রেহানার আহাজারি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
‘আমি সহ্য করতে পারতেছি না। আমি দিনে দিনে মরণের দিকে যাইতেছি। যেভাবেই পার আমারে দেশে নাও। দালাল আমারে দোজখের মধ্যে পাঠাইছে। আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।’
সৌদি আরব গিয়ে নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের রেহানা বেগম (২৫) ভিডিওকলে এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা বলে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানান।
২ মাস আগে সংসারের সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরবের দাম্মামে যান রেহানা বেগম। দাম্মাম শহরের একটি বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেন।
রেহানার স্বামী বাছির মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের লিটন দাশ নামে এক দালাল তার স্ত্রী রেহানাকে সৌদি আরবে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সেখানে গেলে ভালো বেতনে ও ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারবেন। দালালের কথা বিশ্বাস করে এক লাখ টাকা দিয়ে রেহানাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। সেখানে দাম্মাম শহরে একটি পরিবারে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়া হয়; কিন্তু ওই পরিবারে এখন তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলছে। গত ৫ দিন আগে ভিডিওকলে রেহানা জানান, রাতদিন তাকে কাজ করতে হয়। তাকে ভালো খাবার দেওয়া হয় না। প্রতিদিন তার ওপর নির্যাতন হচ্ছে। ঘরের ভেতর বন্দি অবস্থায় রয়েছে। আর কিছুদিন থাকলে সে মারা যাবে।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে রেহানার এ কষ্টের কথা দালাল লিটন দাশকে জানানোর পর তিনি জানান- ৩ লাখ টাকা দিলে রেহানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, সৌদি আরবে হরিণখোলার রেহানা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রেহানার পরিবার খুবই দরিদ্র। সংসারের অভাব ঘোচাতে গিয়ে এখন আরও সমস্যার মধ্যে পড়েছে। রেহানাকে সরকারের সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করছি।