ক্ষতিপূরণ দেয়ার পরও প্রবাসীর বসতঘরের জমি জবর দখলের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০২০, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুরে প্রবাসী ইয়াকুব আলীর বসতবাড়ির চার শতক ভূমি জবরদখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সালিশ বৈঠকে ভূমি ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রতিপক্ষকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দুই বছরেও ভূমি হস্তান্তর না করে জবর দখলে রেখেছেন আমির আলী। এসব বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নিজেদের ভূমি বের করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন আমির আলীর স্ত্রী।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর গ্রামের আমির আলী পলোয়ান দীর্ঘ দিন যাবত প্রবাসী ইয়াকুব আলীর হাজীপুর মৌজাস্থ বসতবাড়ির চার শতক ভূমির উপর গৃহ নির্মাণ করে বসবাস করছেন। ইয়াকুব আলী প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী শারমিন নাসরিন ও শ্বশুড় মো. জামসেদ হোসেন বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে বিচারপ্রার্থী হন। এবিষয়ে ২০১৮ সনের ৩ মার্চ শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমীর আলীকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে দখলকৃত ভূমি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। এজন্য আমির আলীকে অন্যত্র সরিয়ে যেতে ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রবাসী ইয়াকুব আলী নগদ ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন নাসরিন ও শ্বশুড় জামসেদ হোসেন বলেন, আমির আলীর বিরুদ্ধে ভূমি দখল সহ নানা অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। শালিসীদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউপি সদস্য গুলজার আহমদের মাধ্যমে আমরা ৮৫ হাজার টাকা দেয়ার পরও আমির আলী ভূমি ছেড়ে না যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানায় আবেদন করি। চেয়ারম্যান, মেম্বারের সিদ্ধান্তও মানতে রাজি হয়নি আমির আলী। শারমিন নাসরিন বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকায় নিজে সন্তানদের নিয়ে একা বাড়িতে থাকায় নানাভাবে অত্যাচার শুরু করছে।
এ ব্যাপারে হাজীপুর ইউপি সদস্য গুলজার আহমদ বলেন, জমি ছেড়ে দিবেন বলে খরচা হিসাবে হ্যান্ডনোটের মাধ্যমে ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। তবে আমির আলীর ভূমি অন্যদের দখলে থাকলেও আমির আলী কোন অভিযোগ না দিয়েই প্রবাসীর ভূমি দখল করে আছেন।
হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত প্রবাসী ইয়াকুব আলীর ভূমি দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমির আলী বা তার স্ত্রী অভিযোগ জানালে তাদের জমিজমার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তবে অভিযোগ বিষয়ে আমির আলী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম ৮৫ হাজার টাকা প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ভূমি ছেড়ে আমাদের অন্যস্থানে যেতে চাইলে সেখানেও বাঁধা আসে। সমস্যা সমাধান না হলে অন্যস্থানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।