কমলগঞ্জে বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২০, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
কমলগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টানা ৪৬ দিন বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। পরে দোকানিদের দুর্ভোগ ও ঈদের কেনাকাটার চিন্তায় সরকারি নির্দেশনায় সীমিত আকারে গত ১০ মে থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত সকল দোকানপাট খোলা হয়েছে। এ সুযোগে ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সবগুলো কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। গতকাল মঙ্গলবার কমলগঞ্জের শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।
হাটবাজার, ব্যাংক, ও কাপড়ের দোকানগুলোয় শিশু, নারী-পুরুষসহ মানুষজনের উপস্থিতি দেখে মনে হয়নি কারো মাঝে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভয় আছে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে নানা উদ্যোগ নিলেও তা মানছেন না বাজারে আসা ক্রেতারা। সবাই যেন উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটা করছেন। আর পরিচিতজনদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
শমশেরনগর কয়েকটি বিপণিবিতানের দোকানিরা বলেন, টানা ৪৬ দিন তাদের দোকানপাট বন্ধ থাকায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখন ঈদকে সামনে রেখে সরকার সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত দোকান খোলার সুযোগ করে দিয়েছে তাই তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কাপড়ের দোকানে আসা কয়েকজন নারী ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। এ সময়তো ছেলেমেয়েসহ বাড়ির সবার জন্য জামা কাপড় কিনতে হয়। আর বিশেষ করে শিশুদের জন্য হলেও বাজারে এসে কাপড় কিনতে হচ্ছে। আর সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে তারা বলেন, এত ক্রেতার মাঝে এ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়।
ইউএনও আশেকুল হক বলেন, যারা কাপড়সহ পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে আসছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলে বাজার পর্যবেক্ষণকালে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।