কুলাউড়ায় ধান কেটে দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে বোরো ধান কাটা নিয়ে কৃষকদের শঙ্কার শেষ নেই। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আগাম বন্যা, অন্যদিকে মহামারি করোনার কারণে শ্রমিক সংকট। এসব কারণে কৃষকের স্বপ্নের ধান গোলায় তুলতে পড়েছেন বিপাকে। এমন একজন কৃষক হলেন লেছু মিয়া। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে।
শ্রমিক সংকটের কারণে হাকালুকি হাওরের সেই অসহায় কৃষক লেছু মিয়ার ৩০ শতক জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। খোঁজ নিয়ে তাঁর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমান।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) তিনি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী নিয়ে ওই কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
হাওরে ধান কাটায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আলম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ছাত্রনেতা তানিম ইকবাল, রুহেল আহমেদ, সাইফুর রহমান নিজাম মোফাজ্জল করিম মোজাহিদসহ কৃষক লীগ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় কৃষক লেছু মিয়া বলেন, ‘একদিকে শ্রমিক সংকট অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠে পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এমন সময় চেয়ারম্যানের উদ্যোগে পাকা ধান গোলায় তুলতে পেরেছি, আমি খুবই আনন্দিত। উপজেলা চেয়ারম্যান একজন কৃষক দরদী মানুষ।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেকোনো সময় প্রবল বর্ষণ হতে পারে। এতে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। কৃষকের স্বপ্ন না বাঁচলে আমাদেরও না খেয়ে থাকতে হবে। তাই হাকালুকি হাওরের ভূকশিমইল এলাকার কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে ধান কেটে দিয়েছি, যাতে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতারা উৎসাহিত হয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান।’