করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত কমলগঞ্জের ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২০, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার :
সারাদেশে চলমান মরণব্যাধী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকালে ১৬ জন কোভিড-১৯-এর আক্রান্ত হয়েছে ডিপ্লোমা চিকিৎসক (উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, এসএসিএও)। ফলে এখন মাঠ পর্যায়ে আতঙ্কের মাঝে দায়িত্ব পালন করছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ১০ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক।
কমলগঞ্জের ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র সদর হাসপাতালে কর্মরত প্রায় ১০ হাজার উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, (এস.এ.সি.এম. ও) সব কয়টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়াও ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম, হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে, আইসোলেশন, স্যাম্পল কালেকশন, জরুরি বিভাগ সামান্য সু-রক্ষা, এমনকি সু-রক্ষা ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে এই পর্যন্ত সারাদেশে ১৬ জনের অধিক ডিপ্লোমা চিকিৎসক (উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, এস.এ.সি.এম. ও) আক্রান্ত হন এবং একজন ইন্টার্নি ডিপ্লোমা চিকিৎসক দায়িত্বরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সহ-সম্পাদক, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র এর (উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, (এস.এ.সি.এম.ও), ডিপ্লোমা ডা: এ কে এম সামছুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় টেলি মেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। কমলগঞ্জে বর্তমানে ১০জন এস এ সি এম ও ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠার সাথে চিকিৎসা সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বি ডি এম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডিপ্লোমা ডা. এম সাহিদুর রহমান বাবু ও ডা. মো. নুরুল আমিন সকল ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সুরক্ষা, কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, ৩০ হাজার বেকারদের নিয়োগ ও প্রণোদনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম বলেন, উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, এস,এ,সি,এ,ও-রা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অংশ। তারা সব সময় মাঠ পর্যায়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। এখন কোভিড-১৯ সংক্রমণকালে রোগীদের স্যাম্পল সংগ্রহ, কোয়ারেন্টিনে রোগী আছে কিনা পর্যবেক্ষণ এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তারা করছেন। বর্তমানে তাদের সু-রক্ষায় পিপিই দেওয়া হলেও ২৪ ঘন্টা সজাগ থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ১০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসকের মাছে ১৬ জন আক্রান্ত হওয়া ও একজনের মৃত্যুতে আসলেই মাঠ পর্যায়ে তারা এখন আতঙ্কিত রয়েছে। তাদের এসব বিষয়ের প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নজর রাখছে বলেও কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম, মাহবুবুল আলম জানান।