মৌলভীবাজারে উদ্বেগ আর শঙ্কা নিয়ে ধান কাটা শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০২০, ৭:০৬ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর এলাকায় উদ্বেগ আর শঙ্কা নিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার আশঙ্কায় পাকা ধান আগেভাগেই কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া দপ্তরের আগাম বন্যার সতর্কবার্তার কারণে পাকা ধানগুলো যত দ্রুত সম্ভব কাটার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এবছর ধানের ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার আশা জেলা কৃষি বিভাগের। জেলার কুলাউড়া, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলায় বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ জেলায় কৃষক পর্যায়ে নিজস্ব লোকজন দিয়েই ধান কাটানো হয়। তাছাড়া এবার করোনাভাইরাসে অনেক দিনমজুর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অন্য কাজ না থাকায় এদের ধান কাটায় কাজে লাগানো যাবে। শুধুমাত্র আবহওয়া ভালো থাকলেই ধান কেটে ঘরে তুলা সম্ভব হবে। আগামী ১৭ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয় ও আসামের বরাক অববাহিকায় ভারী (১০০ মিমি থেকে ২৫০ মিমি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য কৃষি বিভাগ যেখানে ধান পাকছে, সেখানেই দ্রুত কৃষককে ধান কাটতে উৎসাহিত করছেন। ইতিমধ্যে কৃষক সমিতিগুলোকে ধান কাটার যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ পরিপক্ক হলে ধান সংগ্রহের আহবান জানানো হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখের বিকেলে ধান কাটতে উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক কৃষকদের সাথে ধান কাটায় অংশ নেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান, ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাছনা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার ও বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার বলেন, বৈরি আবহাওয়ার আশঙ্কায় কৃষকদের পেকে যাওয়া ধানগুলো তাড়াতাড়ি কাটার আহবান জানাচ্ছি। আগের বছরের চেয়ে এবার বোরো ধানের ফলন তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি। উপজেলা প্রশাসন থেকে কৃষি শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য অনেকেই ধান কাটায় আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন।