সুনামগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব মেনে ধান কেটে দিলো স্কাউট সদস্যরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ এপ্রিল ২০২০, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
খড়ার মৌসুম। সুনামগঞ্জের হাওর পানিশূন্য। হাওরজুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত সোনালি ধান মন জুড়িয়ে দেয়। প্রতিবছর এ সময় হাওরে শ্রমিক সংকট থাকে। ফলে ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না। এ বছর মহামারি করোনা আতঙ্কে লোক সংকট চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষাণী বিজয়া রানী। একে মহিলা, তার ওপর স্বামী মারা যাওয়ায় একাই সামলাতে হয় ঘর-সংসার, চাষবাস। এ বছর বিজয়া দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। সঠিক সময়ে ধান কাটতে না-পারলে পড়তে হবে আর্থিক সংকটে। জীবন চালানোই তখন কঠিন। কারণ বিজয়ার পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস এই ধান।
কৃষাণী বিজয়ার এমন সংকটে পাশে দাঁড়ালেন দিরাই সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তারা বিজয়ার জমির ধান কাটার উদ্যোগ নেন। জানা গেছে, বিজয়া রানীর স্বামী চার মেয়ে ও এক ছেলে রেখে সাত বছর আগে মারা যান। চার মেয়েকে বিজয়া বহু কষ্টে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে সেলাই-এর কাজ করে স্থানীয় একটি দোকানে। ফলে প্রতিবছরই তিনি হাওরের ধান কাটা নিয়ে সংকটে পড়েন। এ বছর করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তিনি কোনো লোক পাচ্ছিলেন না। খবর পেয়ে রোভার স্কাউট দলপ্রধান শরিফ রাব্বানী, প্রভাষক মিজানুর রহমান পারভেজ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী জাকারিয়া জোসেফ এগিয়ে আসেন। তারা দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কাউট সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটার পরামর্শ দেন। তাদের এভাবে ধান কাটা দেখে স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
স্কাউট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরাঞ্চলে সবসময় শ্রমিক সংকট থাকে। এ বছর হাওরে ভালো ধানের ফলন হয়েছে। কিছুদিন পর বৃষ্টি হতে পারে। ফলে এখন ধান না কাটলে ক্ষেতেই সব নষ্ট হবে। কৃষকদের হাওরের ধান কাটতে উৎসাহিত করতে তারা বিনা পারিশ্রমিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে ধান কেটে দিচ্ছেন। তাদের দেখে স্থানীয় কৃষক করোনা আতঙ্ক ভুলে ধান কাটতে এগিয়ে আসবেন এমনটাই আশাপ্রকাশ করেছেন শরিফ রাব্বানী।
বিজয়া রানী স্কাউট সদস্যের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অনেক দিন থেকেই ধান কাটার শ্রমিক খুঁজছিলাম, পাইনি। ছেলেরা ধান কেটে না দিলে হয়তো এবছর ঘরে ধানই তোলা হতো না। না খেয়ে মরতে হতো।
জাকারিয়া হোসেন জোসেফ বলেন, যাদের হাতে বই-খাতা থাকার কথা, শ্রমিক না থাকায় তারা হাতে কাচি তুলে নিয়েছে। এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
মিজানুর রহমান পারভেজ বলেন, আমি নিজেও ওদের সঙ্গে ধান কেটেছি। কাজটি করতে পেরে মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছি। খড়ার মৌসুম। সুনামগঞ্জের হাওর পানিশূন্য। হাওরজুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত সোনালি ধান মন জুড়িয়ে দেয়। প্রতিবছর এ সময় হাওরে শ্রমিক সংকট থাকে। ফলে ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না। এ বছর মহামারি করোনা আতঙ্কে লোক সংকট চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষাণী বিজয়া রানী। একে মহিলা, তার ওপর স্বামী মারা যাওয়ায় একাই সামলাতে হয় ঘর-সংসার, চাষবাস। এ বছর বিজয়া দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। সঠিক সময়ে ধান কাটতে না-পারলে পড়তে হবে আর্থিক সংকটে। জীবন চালানোই তখন কঠিন। কারণ বিজয়ার পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস এই ধান।
কৃষাণী বিজয়ার এমন সংকটে পাশে দাঁড়ালেন দিরাই সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তারা বিজয়ার জমির ধান কাটার উদ্যোগ নেন। জানা গেছে, বিজয়া রানীর স্বামী চার মেয়ে ও এক ছেলে রেখে সাত বছর আগে মারা যান। চার মেয়েকে বিজয়া বহু কষ্টে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে সেলাই-এর কাজ করে স্থানীয় একটি দোকানে। ফলে প্রতিবছরই তিনি হাওরের ধান কাটা নিয়ে সংকটে পড়েন। এ বছর করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তিনি কোনো লোক পাচ্ছিলেন না। খবর পেয়ে রোভার স্কাউট দলপ্রধান শরিফ রাব্বানী, প্রভাষক মিজানুর রহমান পারভেজ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী জাকারিয়া জোসেফ এগিয়ে আসেন। তারা দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কাউট সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটার পরামর্শ দেন। তাদের এভাবে ধান কাটা দেখে স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
স্কাউট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরাঞ্চলে সবসময় শ্রমিক সংকট থাকে। এ বছর হাওরে ভালো ধানের ফলন হয়েছে। কিছুদিন পর বৃষ্টি হতে পারে। ফলে এখন ধান না কাটলে ক্ষেতেই সব নষ্ট হবে। কৃষকদের হাওরের ধান কাটতে উৎসাহিত করতে তারা বিনা পারিশ্রমিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে ধান কেটে দিচ্ছেন। তাদের দেখে স্থানীয় কৃষক করোনা আতঙ্ক ভুলে ধান কাটতে এগিয়ে আসবেন এমনটাই আশাপ্রকাশ করেছেন শরিফ রাব্বানী।
বিজয়া রানী স্কাউট সদস্যের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অনেক দিন থেকেই ধান কাটার শ্রমিক খুঁজছিলাম, পাইনি। ছেলেরা ধান কেটে না দিলে হয়তো এবছর ঘরে ধানই তোলা হতো না। না খেয়ে মরতে হতো।
জাকারিয়া হোসেন জোসেফ বলেন, যাদের হাতে বই-খাতা থাকার কথা, শ্রমিক না থাকায় তারা হাতে কাচি তুলে নিয়েছে। এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
মিজানুর রহমান পারভেজ বলেন, আমি নিজেও ওদের সঙ্গে ধান কেটেছি। কাজটি করতে পেরে মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছি।