বড়লেখায় বাড়ির পরে জঙ্গল থেকে চাল উদ্ধার! প্রশ্নবিদ্ধ খাদ্য কর্মকর্তা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২০, ১০:৪০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের এক বাড়ি থেকে সরকারি গুদামের ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ভাটাউচি গ্রামের দিনমজুর আব্দুস শুক্কুরের বাড়ি থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার বিকালে ওই এলাকার মুজম্মিল আলীর বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে আরো ৪ টি প্লাস্টিকের বস্তায় ১২২ কেজি চাল ও খাদ্য অধিদপ্তরের ৮টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় দিনমজুর আব্দুস শুক্কুরকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে দিনমজুরকে আসামি করে চাল ডিলারকে বাঁচাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নানা ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
দিনমজুর আব্দুস শুক্কুরের স্বজন ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিলার সুলেমান দিনমজুর শুক্কুরের বাড়িতে ৩০ কেজি ওজনের ৮ বস্তা চাল পাঠান।
বড়লেখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোস্তাক আহমদ বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সিলেটে বাসায় ছিলাম। প্রথমদিন নিরাপত্তা প্রহরীকে পাঠাই ঘটনাস্থলে। স্থানীয় ডিলারের স্টক রেজিস্টার নিয়ে আসতে বলি। শনিবার ওই গোদামে খোঁজ নিতে গিয়ে খবর পাই আরো কিছু চাল ও খালি বস্তা পাওয়া গেছে। এগুলোও পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। যার ঘরে সরকারি চাল পাওয়া গেছে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে থানার পুলিশ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধেও চার্জশীট দেবে। আমরা তো আর মামলা তদন্ত করতে পারিনা।
কিন্তু ডিলারের সম্পৃক্ততা থাকার পরও কেনো তাকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি জানতে চাইল এই কর্মকর্তা বলেন, এই বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই-না। মামলায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসামি দেওয়া হয়েছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক চাল উদ্ধারের ঘটনায় একজনের নামে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটা সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন উপ-পরিদর্শককে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে যারাই জড়িত থাকুক, তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদেরকে তদন্তের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।