তাহিরপুরে নদী খননের নামে কোটি টাকা লুটপাটের মহোৎসব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২০, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৌলাই নদী খনন কাজে ড্রেজারের পরিবর্তে এক্সকেভেটর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নদীর তলদেশ প্রায় ৩০০ ফুট প্রশস্ত হলেও খনন করা হচ্ছে মাত্র ৩০ ফুট।
এ কাজে নদী বা এলাকাবাসীর কোনো উপকার হবে না, বরং সাড়ে সাত কোটি টাকার অপচয় হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সরকারের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চলছে বলে সবার ধারণা। স্থানীয়রা বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত ৯ মার্চ থেকে বৌলাই নদীতে তিনটি এক্সকেভেটর দিয়ে খনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার আলম খান।
জানা যায়, থানার সম্মুখ থেকে সোলাইমানপুর বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার বর্ষায় নৌযান চলাচল করতে পারলেও নদীর নাব্য সংকটের কারণে শুষ্ক মৌসুমে কোন নৌযান চলতে পারেনা। এ সংকট দূর করার জন্য ড্রেজার দিয়ে বর্ষায় নদী খননের কথা থাকলেও ঠিকাদার এখন এক্সকেভেটর দিয়েই নদী খনন শুরু করেছেন।
এক্সকেভেটর মালিক আলীম উদ্দিন জানান, আমি অর্ডার পেয়ে কাজটি করছি। নিষেধ করা হলে কাজ বন্ধ করে দেব।
ঠিকাদার আলম খান বলেন, আমার সঙ্গে কথা না বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। যেভাবে কাজ পেয়েছি সেভাবেই করছি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাজ্জাদ আহমদ বলেন, নদী খনন ১০ মিটার কম হওয়ায় আবারো পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে নতুন প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে ৬০ ফুট খননের জন্য।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবেই নদী খনন করা হবে। কাজ কেবল শুরু হয়েছে। সঠিক সময়ে বুঝতে পারবেন।
এ বিষয়ে তাহিরপুর ইউএনও বিজেন ব্যানার্জি বলেন, নদীর গভীরতা বেশি না হলে নদী খনন কোন কাজেই আসবেনা। এছাড়া এক্সকেভেটর সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।