ছাতকে স্ক্যানিং ছাড়াই ভারতীয় ২০০ শ্রমিক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২০, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
বেসরকারি মালিকানাধীন বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাতকের লাফার্জ-হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি সংলগ্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস আতংক দেখা দিয়েছে। কোনা প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ভারত থেকে আগত প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক বর্তমানে মেরামত কাজে সংযুক্ত রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পরীক্ষা ছাড়া লাফার্জ-হোলসিম কোম্পানির কাজে যোগদানে পুরো ছাতক উপজেলা জুড়েই আতংক ছড়িয়েছে।
সংক্রামক করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা জরুরী বলে দাবী করছেন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারী উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে আশংকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাফার্জ-হোলসিম সিমেন্ট কোম্পনিতে প্রতি বছরের মতো এবারও গত কিছু দিন ধরে মেরামত কাজ (সাট-ডাউন) কাজ শুরু হয়েছে।
এসব মেরামত কাজের জন্য লাফার্জ-হোলসিম কর্তৃপক্ষ ভারত থেকে প্রায় দু’শতাধিক শ্রমিক আমদানী করেছেন। ভারতীয় এসব শ্রমিকরা আকাশ পথে না এসে সড়ক পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। ভারতের আগরতলা-মনতলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এসব শ্রমিকরা।
প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে ৫০ জনের একটি শ্রমিক দল প্রথমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে গত ৩দিনে আরো প্রায় দেড় শতাধিক ভারতীয় শ্রমিক লাফাজ-হোলসিমের মেরামত কাজে যোগদান করেছে। ভারতীয় এসব শ্রমিকরা কোম্পানিসহ ছাতক শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে।
কারখানার একাধিক দেশীয় একাধিক শ্রমিক জানান, আকাশ পথে ভারতীয় শ্রমিকরা দেশে আসলে বিমানবন্দরে এসব শ্রমিককে স্ক্যানের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। তখন কোন ঝুঁকি বা আতংক থাকতো না। জনশক্তি আমদানী-রপ্তানীতে মেডিকেল টেষ্ট করা জরুরি একটি বিষয়।
এ ক্ষেত্রে লাফার্জ-হোলসিম সিমেন্ট কারখানায় মেরামত কাজে আসা এসব ভারতীয় শ্রমিকদের মেডিকেল টেষ্ট করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে অনেকেই অজ্ঞাত রয়েছেন।
এব্যাপারে লাফার্জ হোলসিমের কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, কারখানার মেরামত কাজে আসা ভারতীয় সকল শ্রমিকের মেডিকেল টেষ্ট ও শারীরীক ফিটনেছ পরীক্ষা করে তাদের আনা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তিনি জানেন না।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্ত্তী জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর খবর এখন পযর্ন্ত পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের প্রস্তুতি রয়েছে। লাফার্জে আসা ভারতীয় কোন শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা তিনি জানেন না।
অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর উভয় ক্ষেত্রেই স্ক্যানারসহ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।