সুনামগঞ্জে পাখিকে ঢিল ছুড়লেই জরিমানা ১০ হাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউপির মুরাদপুর গ্রাম। শীত মৌসুমে এ গ্রামে পাখির আনাগোনা থাকে বেশি। ফলে অসাধু একটি চক্র পাখি শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে ঢিল ছুড়লে কিংবা বিরক্ত করলে দশ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা দিয়েছে গ্রামবাসী।
জরিমানার বিধান করায় ঝাঁকে ঝাঁকে হাজারো পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের মুরাদপুর গ্রামটি। সারাদিন হাওরে ঘুরে এ গ্রামের শতাধিক উঁচু গাছে ঠাঁই নেয় পানকৌড়ি, সাদা বক, লাল বক, ধনেশসহ নানা জাতের অতিথি পাখি। আর এসব পাখি দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকরা আসেন।
সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো পাখি খাবারের সন্ধানে আশপাশের হাওরে চলে যায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে পাখিদের সমাবেশ। পাখির কিচিরমিচির ডাকে গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙে।
মুরাদপুর গ্রামের সানজব আলী জানান, পাখিকে জাতীয় সম্পদ মনে করে সংরক্ষণ ও সন্তানের মতো আগলে রাখে গ্রামবাসী। পাখির আনাগোনার সঙ্গে পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছ। তবে পর্যটকদের জন্য কোনো বসার স্থান নেই।
একই গ্রামের হারুন মিয়া জানান, প্রতিদিন গ্রামের সৌখিন লোকজন পাখিদের লীলাখেলা দেখতে মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গ্রামের পশ্চিম দিকের পাকা সড়কে অবস্থান করেন। পাখির এমন আবাসস্থলের খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামের লোকজন প্রতিদিন বিকেলে এসে ভিড় জমান।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু জানান, মুরাদপুর এখন পাখির গ্রাম। এ গ্রামকে ঘিরে একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। আর পাখি শিকার বন্ধে গ্রামবাসী উদ্যোগী হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ইউএনও জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, মুরাদপুর গ্রামের যাব। পাখিকে ঘিরে যদি পর্যটন গড়ে তোলার মতো পরিবেশ চোখে পড়ে অবশ্যই আমি ভাটি অঞ্চলের এ গ্রামে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করব।