সুনামগঞ্জের পল্লীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১২
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১:০২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামে ফের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ১২ জনসহ ২৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার বিকালে গ্রামে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী চলা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ জমিল মিয়া (৩২), আয়াজ উল্লা (৫০), আলাল মিয়া (৫২), রিপন মিয়া (২৬), ললিছ মিয়া (৩২), মাসুক মিয়া (৬০), শামীম মিয়া (৩২), এলিনা বেগম (৩০), ইশবাল (২৫), আব্দুল বারিক (৩০), মকসুদ মিয়া (৫০), রুবেল মিয়াকে (২৮) সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে গ্রামের ছেরাগ আলীর পুত্র ছুরত মিয়া ও হারুন মিয়ার পুত্র সাইফুল মিয়াকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
এক মাসের মাথায় দুবার অবৈধ অস্ত্রের গুলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা রয়েছে। আজকের ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষ পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে।
ইউপি সদস্য মনু মিয়া বলেন, বুধবার বিকালে আমি বাড়ি থেকে বের হলে জাহির আলীর লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার লোকজন আমাকে উদ্ধার করতে এলে তারা আমার লোকজনের ওপর এলাপাতারি গুলি চালায়। প্রায় ১৫-২০ রাউন্ড গুলি করে তারা আমার পক্ষের ৮ জনকে গুলিবিদ্ধ করে। তারা সবাই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
জাহির আলীর পক্ষের বুরহান মিয়া জানান, মনু মিয়ার লোকজন অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পক্ষের ৪ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করেছে। তাদেরও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজিয়া বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে রায়বাঙ্গালী গ্রাম থেকে ৯ জন আহত রোগী এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ৮ জনই গুলিবিদ্ধ। সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম জানান, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ দুটি পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যে অনেক মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। ঘটনার সময়ে আমরা সেখানে ছিলাম না, গুলাগুলি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৫ জানুয়ারি এ দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ নিয়ে মনু মিয়ার পক্ষের শামীম মিয়া বাদী হয়ে দিরাই থানায় ও জাহির আলীর পক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা দুটি তদন্তাধীন রয়েছে।