সাত ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন কমলগঞ্জবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ আগস্ট ২০১৯, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া গ্রীডে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার কারণে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চার দফায় সাত ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনস্থ হাজার হাজার গ্রাহকরা। গ্রিড লাইন, বিদ্যুৎ লাইনে প্রতিদিন ত্রুটি দেখা দেয়ায় দিবারাত্রি দু’তিন দফায় কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে। ফলে গরমে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘœ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানা ও গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
কমলগঞ্জের ব্যবসায়ী ফটিকুল ইসলাম রাজু, রফিকুল ইসলাম, নিবাস চন্দ, সেলিম আহমদ, আব্দুল মালিক, শিক্ষক আব্দুর রহিম খান অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুতের এমন লুকোচুরির কারণে আমাদের নিত্য কাজকর্মে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন ও রাতে এক ঘন্টা করে চার, পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গত ঈদের সময়েও এ সমস্যায় ভুক্তে হয়েছে। এ অবস্থায় প্রচন্ড গরমে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি। স্কুল শিক্ষক ও দুই ব্যবসায়ী বলেন, বিদ্যুৎ দীর্ঘ সময় না থাকলে কমলগঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করেন না, এমন কি ফোন বন্ধ থাকে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়াশুনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, টিলাগাঁও, পৃথিমপাশা ও রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়ন অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে প্রায় লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক মিল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শমসেরনগর চা বাগানের একজন সহকারী কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে চা বাগানে কারখানায় চা উৎপাদনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর এর মাধ্যমে কারখানা সচল রাখতে হয়। এ সময়ে লোড পর্যাপ্ত থাকে না।
শমসেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী ডা. আব্দুল মুত্তাকিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চার দফায় ৭ ঘন্টার মতো বিদ্যুৎ নেই। এখনও দিনের বাকি সময় আর রাতে কতবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, কুলাউড়া গ্রীডে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার কারণে ত্রুটি দেখা দেয়ায় মঙ্গলবার কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। তবে কাজ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম ওবায়দুল হক বলেন, কুলাউড়ায় গ্রীড ও তেত্রিশ হাজার কেভি প্রধান লাইনে ঘন ঘন বিপর্যয় ঘটছে। ফলে পূর্ব থেকে কোন নোটিশ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানরা যথাসাধ্য কাজ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।