মৌলভীবাজারে ইভটিজিং করার সময় জনতার হাতে আটক মাদ্রাসার শিক্ষক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মিলিপ্লাজা মার্কেটে এক অপরচিত মহিলার গায়ে হাত দিয়ে জনতার হাতে ধরা খেলেন বহুঅপকর্মের নায়ক মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল হাশেম। মার্কেটে হঠাৎ শরীরে হাত দিলে ওই মহিলার চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে হাশেমকে আটক করেন। গণধোলাই থেকে বাঁচতে নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসলেও পরে পৌরসভার সামনে আবার তাকে আটক করে বিক্ষুব্দ জনতা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশের এসআই আবুল বাশার এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ জানায়, আগেও হাশেম মিলি প্লাজায় চুরির ঘটনায় আটক হয়েছিল। পরে তার স্ত্রী ও জুড়ি উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আটক আবুল হাশেম জুড়ি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। স্থানীয় লোকজন জানান, এই শিক্ষক ওই মাদ্রাসায় বিভিন্ন ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিং করেন তবে লোকলজ্জার ভয়ে কোন শিক্ষার্থী মুখ খুলতে রাজি হয়নি। হাশেমের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকায়। সে ওই এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা ওই মহিলার শরীরে আচমকা হাত দেয় আবুল হাশেম। এসময় মহিলাটি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে হাশেমকে আটক করেন। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দেয়ার সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। জনতার ধাওয়া খেয়ে তিনি পৌরসভার সামলে আসলে তাকে আবার আটক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে সে মহিলার শরীরে হাত দেয়ার কথা স্বীকার করে। আর জীবনেও এরকম ভুল করবো না বলে জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার জিয়াউল হক বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় গত ৩ জুলাই থেকে আবুল হাশেমকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।