সুনামগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে ৩০লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুলাই ২০১৯, ২:৫৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে সরকারি জমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার শিকার ধর্মপাশা উপজেলার মাহমুদ নগর গ্রামের উজ্জল মিয়া ও তার পুত্র মোঃ হিরা।
জানাযায়, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া গ্রামের উজ্জল মিয়ার ধর্মপাশা উপজেলার ধানকুনিয়া হাওরের কিছু কৃষি জমি রয়েছে। উজ্জল মিয়াকে ৬.২১ একর সরকারি জলাভূমি বন্দোবস্ত দেয়ার কথা বলে প্রায় ২বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন জমা দেওয়ার কথা বলে একাধিক কিস্তিতে ৩০লক্ষ টাকা নেন তার ভাতিজির জামাই গাফফার চৌধুরী (অপু)।
কিন্তু গাফফার চৌধুরী জমি বন্দোবস্তের বাস্তব কোন উদ্যোগ না নিয়েই বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কাগজপত্র, সোনালী ব্যাংকের চালান ও পে-অর্ডারের কপি নকল করে পুরো টাকাটাই হাতিয়ে নন।
উজ্জ্বল মিয়া জনান, ১জুলাই সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থাকার জন্য আমাকে বলে গাফফার চৌধুরী। যথারীতি আমরা আদালত প্রাঙ্গনে বসে থাকি। কিন্তু সকাল থেকে গাফফার চৌধুরী মোবাইল বন্ধ ও তার দেখা না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানালে তখনই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। উক্ত ভূমি বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাফফার চৌধুরী বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জাল কাগজপত্র ও সোনালী ব্যাংকের চালানের নকল দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
উজ্জল মিয়ার ছেলে মোঃ হিরা বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে প্রবাসে থেকে টাকা আয় করেছি। সেই টাকা দিয়ে আমার বাবা জায়গা বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করছেন শুনে খুশিই হয়েছি। দেশে আসার পর বুঝলাম এতো কষ্টের উপার্জিত টাকার পুরোটাই প্রতারকের পেটে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এর ব্যবস্থা নেবো। জেলা প্রশাসক এ ধরনের জালিয়াতি কার্যক্রম থেকে সচেতন থাকার জন্য এবং কারো সাথে বিধি-বহির্ভূত লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।