কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০১৯, ৫:১২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন ট্রেন দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনার তদন্তে আঞ্চলিক ও বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
উভয় তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আঞ্চলিক প্রধান পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তালিকা
১. চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মো. মিজানুর রহমান (আহ্বায়ক)
২. চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) আ. জলিল (সদস্য)।
৩. চিফ অপারেটিং সুপারিনটিন্ডেন্ট (সিওপিএস) সুজিত কুমার (সদস্য)।
৪. চিফ সিগনাল অ্যান্ড টেলিকম অফিসার (পূর্ব) ময়নুল ইসলাম (সদস্য)।
এছাড়া বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তালিকা
১. মো. ময়নুল ইসলাম, ডিটিও, কমলাপুর, ঢাকা (আহ্বায়ক)।
২. শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, ডিএমই (পূর্ব), চট্টগ্রাম (সদস্য)।
৩. ডা. আ. আহাদ, ডিএমও, কমলাপুর, ঢাকা (সদস্য)।
৪. আবু হেনা মোস্তফা আলম, ডিএসটিই, কমলাপুর, ঢাকা (সদস্য)।
৫. আহসান জাবির, ডিইএন-২, ঢাকা (সদস্য)।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য রেলমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হলেও সকালে পুলিশ চারজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায়।
নিহতরা হলেন- সিলেটের মোগলাবাজার থানার আব্দুল্লাপুর গ্রামের আব্দুল বারীর মেয়ে নার্সিং কলেজের ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার ইভা (২০), বাগেরহাটের মোল্লার হাট থানার আতজুরি বান্দর খোলা গ্রামের মো. আকরাম মোল্লার মেয়ে নার্সিং কলেজের ছাত্রী সানজিদা আক্তার (২০), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার টিটিডিসি এরিয়ার বাসিন্দা আব্দুল বারীর স্ত্রী মনোয়ারা পারভীন (৪৮) এবং হবিগঞ্জের কাওছার আহমেদ।