মৌলভীবাজারে শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০১৯, ১:০৪ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। উপজেলার দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাষা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভের একাংশ ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। অবিলম্বে এ সেপটিক ট্যাংক অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
২০১৭ সালের ১৬ মার্চ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে স্কুলে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙে এ ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করেছেন।
রমজান মাসের ছুটি চলাকালীন শৌচাগারের ট্যাংকি নির্মাণ করায় বিষয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর নজরে আসেনি। শনিবার স্কুল খোলার পর শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণের ঘটনা নজরে এলে বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করতে থাকে।
একালাবাসীরা জানান, শহীদ মিনারের একাংশ ভেঙে এভাবে সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করে ভাষা সৈনিকদের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অবমাননা করা হয়েছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তারা অবিলম্বে এ সেপটিক ট্যাংক অপসারণের দাবি জানান।
দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস এ ব্যাপারে বলেন, ঠিকাদারের মিস্ত্রিরা শহীদ মিনার স্পর্শ না করেই সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করতে পারবে বলেছিল। পরে দেখা যায় তারা সিঁড়ি ভেঙে ফেলেছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে এ স্থান থেকে শহীদ মিনারটি স্কুলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, স্কুল কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী ঠিকাদারকে স্থান নির্ধারণ করে দেয়ায় এখানে ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়। তবে সবাই চাইলে শহীদ মিনারের কাছ থেকে সেপটিক ট্যাংক সরানো যেতে পারে।