সুন্দর জীবনের জন্য পিতা-মাতার সান্নিধ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
শাহরিয়ার রশিদ কয়ছর:
প্রাত্যহিক জীবনের প্রচন্ড দায় নিয়ে দিন শুরু হওয়া আর একরাশ ক্লান্তি নিয়ে দিন শেষ হওয়া এটাই জীবনের চরম বাস্তবতা। এই কঠিন বাস্তবতা কোমলমতি শিশু -কিশোরদের চরমভাবে বঞ্চিত করে মা-বাবার সান্নিধ্য ও ভালোবাসা থেকে। যার ফলে শিশুর মানুষিক বিকাশ হয় বাধাগ্রস্ত, তৈরি হয় নানান ধরনের পারিবারিক সামাজিক এমনকি জটিল মানসিক সমস্যা। সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে না পারার অপরাধবোধে দিশেহারা থাকেন অনেক মা-বাবা। তাই শাসন -আদর, চাওয়া -পাওয়া, আশা নিরাশার যে সমস্যার সৃষ্টি করছে তা পরিবার সমাজের গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় সমস্যায় রুপ নিচ্ছে, যার বাস্তব প্রমাণ ঐশীদের মতো তরুণ তরুণীরা। তরুণদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়া, নেশায় আসক্ত হওয়া, অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, সন্তানদের পিতা-মাতার সাথে দূর্ব্যবহার ও নৃশংসতা এর বেশিরভাগ উৎপত্তি পারিবারিক অসন্তোষ থেকে। পিতা-মাতার সন্তানদেরকে সময় দান এ সমস্যার অনেকটা লাঘব করতে পারে। কিন্তু এতো কাজের ভিড়ে তা কি সত্যিই সম্ভব!! এমনই একজন সিলেট কাজলশাহ এলাকার দুলাল আহমেদ ব্যস্ততার জন্য বাচ্চাদের সময় দিতে পারেন না যার জন্য বেশিরভাগ সময় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। বাস্তবতা যতই কঠিন হউক একটু আন্তরিকতা, একটু ভালোবাসা দেখান, একটু পরিবারের সাথে সময় দান অতৃপ্তির উপভোগ্য জীবন এনে দিতে পারে। যে পরিবারের সুখের জন্য এত বেশি পরিশ্রম করেন, আর এই অতিরিক্ত পরিশ্রমই যদি আপনার পারিবারিক অশান্তির কারণ হয়, তবে এই পরিশ্রমের কতটুকু প্রয়োজন আছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আপনার একটু অবহেলার জন্য যদি আজকে নিব্রাস ঐশীদের জন্ম হয় তাহলে সারাজীবন নিজে অপরাধী থেকে গেলেন।