কুলাউড়ায় পিডিবিকে পল্লীবিদ্যুতে হস্থান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০১৭, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃক কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহের স্থাপনা, জমি ও বিদ্যুৎলাইন দখলের চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং পল্লী বিদ্যুতের সাথে অবৈধ চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সুশীল সমাজ।
১৯ জুলাই (বুধবার) বেলা ১১ টায় পৌরশহরের স্টেশন চৌমুহনী এলাকায় আমরা কুলাউড়াবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। মানববন্ধনে কুলাউড়ার বিভিন্ন সামাজিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শান্তিপ্রিয় কুলাউড়ার জনপদকে অস্থিতিশীল করতে কতিপয় কুচক্রিমহল নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিডিবিকে বেসরকারী বিদ্যুৎ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতে হস্তান্তরের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। রক্তচোষা বিদ্যুৎ বিল, লোডশেডিংয়ের অশনিসংকেত নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ আমাদের শহরে ঢুকতে চাইছে। কুলাউড়ার মানুষ সচেতন, কোন চক্রান্ত এখানে সফল হতে দেয়া হবে না।
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন. আমরা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানিনা কিভাবে পিডিবিকে পল্লীতে হস্তান্তর হচ্ছে। আমরা এর জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং প্রয়োজনে আন্দোলন করে পল্লীকে হঠানো হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম বলেন, এটা কুলাউড়ার শান্তিপ্রিয় মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় সাংসদ মো. আব্দুল মতিন বলেন, পল্লীকে পল্লীতে শোভা পায়, শহরে নয়। কুলাউড়াবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে যে সিদ্ধান্ত নিবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা মানতে হবে। অন্যতায় এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হবে।
কুলাউড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় জাসদ নেতা গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সিপিবি নেতা মো. খন্দকার লুৎফুর রহমান, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম, আতিকুর রহমান আখই, সমীর আহমদ, মো. আরমান হোসেন, সিরাজ উদ্দিন বুলু, শাকির আহমদ, জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, হাফিজ বদরুল ইসলাম, মাহফুজ শাকিল প্রমুখ।
মানববন্ধনের সভাপতি বদরুজ্জামান সজল বলেন, বিগত ২০০৪ সালে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের মধ্যে একটি অবৈধ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তখন থেকেই আমরা ওই চুক্তি বাতিলের জন্য মৌখিক আন্দোলন করছি। এখন যেহেতু পল্লী বিদ্যুৎ জোরপুর্বক বিদ্যুতের লাইন, স্থাপনা দখল করতে চাইছে, তাই আমরা রাজপথে নেমেছি। অবেধ ওই চুক্তি বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে দুর্বার আন্দেলনের ডাক দেয়া হবে।