মৌলভীবাজারে রেহানা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, ঘাতক পাষন্ড পিতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০১৭, ৪:৩১ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও বাগৃহাল গ্রামের রেহানা বেগম (১৭) এর হাত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
গতকাল ৯জুলাই রবিবার ভোরে রেহানা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেহানার পিতা মো. আছকর আলীর মেয়ের হত্যাকান্ডের ভার অন্যের উপর চাপাতে চাইলেও পুলিশি নজর ছিলো তার উপর। ১০ জুলাই রাতে পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল মালিকসহ ইউপি সদস্যদের সহযোগীতায় রেহানার পিতাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নিজের মেয়েকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন তিনি।
নিহত রেহানার পাষন্ড পিতা আছকর আলীর বরাত দিয়ে কুলাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী জানান, একই ইউনিয়নের আশ্রয় গ্রামের লাল মিয়ার সাথে প্রেম করার অপরাধে পরিকল্পিত ভাবে গলাকেটে হত্যা করে নিজ মেয়ে রেহানা বেগমকে। এই হত্যার দায় প্রেমিক লাল মিয়া ও তার শুভাকাক্ষী বৈদ্যশাসনসহ পৃথিমপাশা এলাকার কয়েক জনের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালান তিনি। এরই সপক্ষে যুক্তি হিসাবে সে নিজ হাতে, কপালে ও বামপিঠে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছোড়া, ব্লেড ও তার পড়নে থাকা রক্তমাখা লুঙ্গি নিহত রেহানার পিতা আছকর আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করে এবং ঘাতক পাষন্ড পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গতকাল ৯জুলাই রোববার ভোরে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাগৃহাল গ্রামে মো. আছকর আলীর মেয়ে রেহানা বেগম বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একই ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম এলাকার রকিব আলীর ছেলে লাল মিয়া ভোরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে রেহানাকে মারধর শুরু করলে তার বাবা আছকর আলী বাধা দেন। এতে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে সে রেহানাকে জবাই করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন রেহানার পিতা আছকর আলী।