পানিবন্দী জনসাধারন যেন সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হয় -বালাগঞ্জে জেলা প্রশাসক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০১৭, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
রজত দাস ভুলন, বালাগঞ্জ থেকে:
সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার বলেছেন, পানিবন্দি জনসাধারণ যেন সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পানি বন্দি মানুষের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ত্রানে কোন অভাব হবে না ত্রানের জন্য কোন লোক যেন মারা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দূর্যোগের সময় নিজের মন থেকে অসহাদের জন্য কাজ করলে আনন্দ লাভ করা যায়।
সোমবার(৩ জুলাই) বিকালে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রান ও দুর্যোগ কমিটির জরুরী সভায় তিনি এ কথা গুলো বলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদাল মিয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন-ডিডিএলজি দেবজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহীদুল ইসলাম, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোস্তাকুর রহমান মফুর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনহার মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ সৈয়দ আলী আজগর, সহকারি কমিশনার ( ভুমি) সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জালাল উদ্দিন আহমদ, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সময় টিভির ইকরামুল কবির ইকু।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নজম, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিরুল ইসলাম মধু, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মুনিম, পূর্বগৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস, বালাগঞ্জ সদর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বালাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জুনেদ মিয়া, বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রজত দাস ভুলন, বালাগঞ্জ ইউপি সচিব রঙ্গেশ দাস,ওসমানীনগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল, মাছুম চৌধুরী, আব্দুস শহীদ সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
পরে জেলা প্রশাসক নৌকা দিয়ে কুশিয়ারা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গন সহ বন্যা কবলিত একাধিক স্থান পরিদর্শন করে ৫০টি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেন।
এদিকে বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষই পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। কুশিয়ারা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের একাধিক স্থান ভেঙ্গে গিয়ে পানি প্রবেশ করছে। গোয়ালাবাজার-ইলাশপুর-বালাগঞ্জ সড়কে সব ধরনের যান বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি যে সাহায্য এসেছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া।