হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০১৭, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেছেন, ‘হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোনও অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোমবার (৮ মে) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে জেলার সুধীজনদের সঙ্গে শহীদ জগৎ জ্যোতি পাঠাগারে আরেকটি সভায় মতবিনিময় করেন তিনি।
ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ‘সুনামগঞ্জে প্রতিবছর হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত নিয়ে জুয়া খেলা চলে। এই প্রবণতা সবার সহযোগিতায় নিরসন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাওরের বাঁধ নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এছাড়া শিগগিরই নদী খননের কাজ শুরু করা হবে।’
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘হাওরের সব সমস্যা এক বছরে নিরসন সম্ভব নয়। এর জন্য অনেক সময় দরকার। আরও গবেষণা ও পর্যালোচনা করে হাওর-উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।’
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল গঠন করে দিয়েছে। এই দলের প্রধান করা হয়েছে ড. মোহাম্মদ আলী খানকে। রবিবার (৭ মে) বিকালে ড. মোহাম্মদ আলী খানের নেতৃত্বে এই দল সুনামগঞ্জে পৌঁছে। সোমবার দলটি সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার, পিআইসি কমিটি ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে।
মঙ্গলবার এই তদন্ত দল জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর পরিদর্শন করে স্থানীয় কৃষকদের মতামত সংগ্রহ করবে। তারা পর্যায়ক্রমে হাওরবেষ্টিত ৬টি জেলার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।