জগন্নাথপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম, তদন্ত শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০১৭, ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুইটি গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র লোকজন ভিজিএফ’র চাল ও নগদ অর্থ পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কার্ড ও নগদ অর্থ স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সাজাদ ও তার সমর্থকদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
ফলে গরীব, হতদরিদ্র ও কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ’র নিকট পৃথকভাবে দু’টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১নং কলকলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দ্ররিদ্র লোকজনের মধ্যে ৬ মে সরকার কর্তৃক ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের মজিদপুর ও সোপা গ্রামের ফসলহারা কৃষক ও অসহায় দরিদ্র পরিবারের লোকজনের নাম ভিজিএফ’র চাল বিতরণের তালিকায় নাম দেয়া হয়নি । ফলে ওই দুই গ্রামের লোকজন সরকারী সাহায্যে থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, নাদামপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সাজাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের প্রথমদিকে তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসী সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন অভিযোগ উত্তাপন করেন।
সরকারী বরাদ্ধে অনিয়মের বিষয়ে মজিদপুর গ্রামের নুরুল হক সহ ২৯জন সাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসার কারণে সরকারী সহায়তা থেকেও বাদ পড়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এব্যাপারে কলকলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিমের বলেন, ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যগন ভিজিএফ’র তালিকা তৈরী করেছেন। এবং কমিটির সদস্যেরদের মতামতের প্রেক্ষিতেই তালিকা করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা পিআইও ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।