শ্রীমঙ্গলে চালের বাজার অস্থিতিশীল, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০১৭, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
প্রবল বৃষ্টিতে দেশের অনেক হাওরাঞ্চল পানির নিচে যেতে না যেতেই মজুদদাররা সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে চালের দাম। চালের বাজারেও আগুনের উত্তাপ। আট-দশ দিনের ব্যবধানে চালের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সাধারণ মানুষের অভিযোগে সরোজমিনে চালের বাজার ঘুরে জানা যায়, হঠাৎ করে চালের দাম বস্তা প্রতি ৩০০- ৫০০ শত টাকা হারে বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে খুচরা চাল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে চালের ধরন অনুযায়ী প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়ে গেছে।
স্থানীয় আড়ৎদারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,” দশ পনেরো দিন ধরে পাইকারি চাল কিনতে পারছিনা টাকা নিয়ে ঘুরছি কিন্তু চাল পাচ্ছিনা, চাল সংকটের কারনে দাম বেড়েছে আমাদের কিছু করার নেই।”
চাউলের বাজারে সত্যি কি সংকট ? না কি সংকট আপনারা তৈরি করেছেন? এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে এক চালের আড়ৎদার বলেন “চাল আমরা কিনতে পারছিনা চালের মিলে চাল নাই।”
এদিকে দিন মজুরেরা দিশেহারা! দিন মজুর জগদিস ঘোষ বলেন,”আমার সীমিত আয় যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না তার উপর আবার চালের বাজারে আগুন মত দাম বাড়ছে।এখন মাসে ৫০০ টাকা বেশি লাগছে। চাল কিনবো না এখন ঘর ভাড়া দিমু, না পুলা মাইয়ারে পড়ামু না চাল কিনা খামু? একে ত অভাবের সংসার বাচাটা মুশকিল আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই বাজারে গেলেই শুনি চাল নাই দাম বাড়ছে আরও বাড়বে!”
আরেক রিক্সা চালক জসিম জানান, ‘এক সপ্তাহ আগে যে চাউল কিনছি ৩১ টেহায় এহন ৪২/৪৫ টেহা, আমরারে জিগাইয়া কি করবেন বড় বড় অফিসাররা দেশ চালায় তারারে গিয়া জিগান। আর কিতা কইতাম বাজারের খবর লইয়া তারা কিতা করতো? তারার তো টেহার অভাব নাই।”
রাজমিস্ত্রি জাবেদের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের তিনি বলেন,”বাজারে জিনিসের দাম যে যেমনে পারে বাড়ায় কেউ খবরও লয়না” আমরা যা পায় তা দিয়ে চলার আর উপায় নেই এখন আল্লাহই ভরসা।”
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো মোবাশেশরুল ইসলাম বলেন, চালের দাম বাড়ার প্রশ্নই উঠেনা। সরকার যে দাম নির্ধারিত করেছে সেই দামেই বিক্রয় করতে হবে। যদি আড়ৎদাররা দাম বৃদ্ধি করে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব।