মন্তব্য কলাম : মিয়ানমারে ইয়াজিদের উত্তরসূরিদের পৈশাচিক উল্লাস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০১৬, ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ
সুহেল আহমেদ চৌধুরীঃ মর্তের নরকের নারকীয় তাণ্ডব, ইয়াজিদের উত্তরসূরিদের পৈশাচিক উল্লাস, ভুখা নাঙ্গা মানুষের প্রতি মধ্যযুগীয় বর্বরতা, নিপীড়িত মানবতার অসহায় আত্মসর্মপন যখন ফেইসবুকে নিউজ ফিডে ভেসে আসে; তখন হৃদয়িক ক্রন্দন থামাতে পারিনা। নির্মমতার ব্যাপ্তির কাছে হিটলারিয় কৌশল যেন নস্যি! মানুষের মাংস খেকো রাক্ষুসদের দানবীয় আচরণের স্থিরচিত্র কিংবা ভিডিও গুলো বাস্তব জেনেও আমি বিশ্বাস করতে পারি না, কেননা এই দানবগুলোর অববয় দেখতে অবিকল মানুষের মত। আমি যত ভিডিও দেখেছি আমার কাছে মনে হয়েছে ঘুমের ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখেছি। বাস্তবে রক্ত মাংসের মানুষ আরেকজন জীবন্ত মানুষের উপর এমন অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাতে পারে তার উদাহরণ কেবল তাঁরাই; যাদের ধর্মের মূল মন্ত্র জীবে দয়া!
বলছিলাম নাফ নদীর অপর প্রান্তে বসবাসকারী সেইসব নরকের কীটের কথা যাদের উন্মাদনা দেখে আমাজনের জন্তু জানোয়াররা লজ্জা পাবে।
এখন সময় এসেছে আরাকান বাসীর স্বাধীনতার! মনে হতে পারে এটি দুঃস্বপ্ন, কিন্তু সেটিই নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র রাস্তা।ইতিহাস বলে কখনও কোথাও স্বাধীনতা আসেনি মসৃণ পথে, স্বাধীনতার পথ সবসময় বন্ধুর, রক্ত নদী অতিক্রম করেই স্বাধীনতার সাজোয়া যান তার অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছে। আরাকানবাসীর জন্য এখন লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন। একক কোন ধর্মীয় বিশ্বাসীর কাছে নয়, সকল মানবতাবাদীর কাছে আবেদন নিপীড়িত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষের জন্য তহবিল গঠনের কাজে নামতে হবে।
আরাকানবাসীর অনেকেই বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছেন তাদের সংগঠিত করে, প্রশিক্ষণ ও অর্থ দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য আরকানের সকল প্রতিবেশী দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিলে সমাধান আসবে না।মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনী মনে করে আরাকানবাসী বাঙ্গালী তাই তাদের উপর এই বিমাতাসূলভ পৈশাচিক উম্মাদনা! যাতে তারা বাংলাদেশে চলে আসে। আরাকানবাসীকে আরাকানে থেকেই সমুচিত জবাব দিতে হবে। আরকান রাজ্য কে স্বাধীন একটি দেশ না হওয়া পর্যন্ত আত্মাহুতি চলুক, তাদের লাল রক্তে আরাকানের পূর্ব দিগন্তে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য উদিত হতেই হবে। সে স্বপ্ন বাস্তব করবেন সকল বিশ্ববাসী যারা আর রক্তের হোলি খেলা দেখতে চান না।
(সুরমানিউজ এর পাঠককলামে প্রকাশিত সব লেখা পাঠক কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত। এই সংক্রান্ত কোনো ধরনের দায় সুরমানিউজ বহন করবে না। সুরমানিউজ এর কোনো লেখা কেউ বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করতে পারবেন না।)