মৌলভীবাজারে অভিবাবকহীন তিন সন্তানের জননীর মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০১৬, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:
অতিরিক্ত রক্ত শুন্যতা ও ডায়রিয়া রোগের কারনে মৌলভীবাজারে মারা গেছেন অভিবাবকহীন তিন সন্তানের এক জননী। আর তিনি মারা যাওয়ায় হাসপাতালে বেডেই অসহায়বস্থায় পড়ে আছে তার তিন সন্তান। এদিকে তাকে যারা হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছিলো সে মারা যাওয়ার পর তারাও গাঁ ঢাকা দিয়েছে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. পলাশ জানান, গত ১৯ আগষ্ট আড়াই তিন মাসের প্যাগনেন্সির অসম্পূর্ন ডিএনসি করাবস্থায় রক্ত শুন্যতা নিয়ে কনা বেগম (৩০) হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন তার রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমান ছিলো ৪.১। রোগীর সাথে আসা লোকেরা দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় ব্লাড ব্যাংক থেকে প্রতিদিন এক বেগ করে ৪ বেগ রক্ত দেয়ার পর বুধবার দুপুরে তাকে পুনরায় ডিএনসি করা হয়। ডিএনসি করার পর তাকে আরো এক বেগ রক্ত পুশ করা হয়। এ সময় দেখা দেয় ডায়রিয়া রোগ। এই অবস্থায় বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সে মারা যায়। এদিকে সে মারা যাওয়ার পর যারা তাকে নিয়ে এসে দেখাশুনা করছিলো তারাও গাঁ ঢাকা দেয়। অন্যদিকে অভিবাবকহীন হয়ে পড়ে কনা বেগমের তিন সন্তান কাওছার মিয়া (৯) রিয়া বেগম (৮) ও নিলয় মিয়া (২)। কনা বেগমের সন্তানদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তাদের বাবা হুমায়ুন মিয়া প্রায় ৩ বছর আগে আরেক বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছে। এর পর থেকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়রের দক্ষিন বারন্তী এলাকায় একটি কলোনীতে থাকতো তারা। তার মা বাসায় কাজ করতো।
বর্তমানে তাদের কেউ নেই। তবে তাদের ময়মনসিংহে তাদের এক মামা আছেন বলে জানায়। রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের গ্রহন করার জন্য কেউ আসেনি। ৩শিশু হাসপাতালের বেডেই শুয়ে আছে এবং হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীর স্বজনরা তাদের কিছু পাউরুটি ও কলা কিনে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রাত ১১টায় হাসপাতালে গেলে অন্য এক রোগীর স্বজন মোছাব্বির আলী মুন্না জানান, বাচ্চা গুলো অসহায় হয়ে পড়ে আছে দেখে তার খুব খারাপ লেগেছে তাই তাদের খাবার জন্য কিছু টাকা দিয়েছেন।