বালাগঞ্জে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, বিপনীতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২০, ৯:১০ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন,বালাগঞ্জ:
করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে পৃথিবী নামক গ্রহের অর্থনৈতিক চাকা হয়ে পড়েছে স্থবির। এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধির অনেক শর্তানুযায়ী দেশে মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত বালাগঞ্জের ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। বিপনী বিতানগুলোতে বাড়ছে বিপুল সংখ্যক ভিড়। এ পরিস্থিতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি। অনেকদিন পর মার্কেট খোলায় প্রশাসন কিছুটা শিথিল আচরণ করছে।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ বন্ধের পর সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি ও প্রশাসনিক নানা শর্তে মার্কেট খোলার পর সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন কঠিন হয়ে পড়েছে। দোকানিরা কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করলেও ক্রেতারা বেপরোয়া।
সরেজমিনে দেখা গত ১০ তারিখ থেকে চলতি সময় পর্যন্ত বালাগঞ্জ উপজেলার সদর বাজারে দেখা যায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে মানুষ কেনাকাটা করছেন। কেনাকাটা করতে আসাদের মধ্যে নারীর পাশাপাশি রয়েছে অনেক শিশু। তাতে তৈরী হচ্ছে এমনকি সংকেত দিচ্ছে ভয়ংকর পরিস্থিতির।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের ভিড় বাড়লে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ঝুঁকি নিয়েই কেনাবেচা করতে হচ্ছে। ক্রেতাদের ক্ষুদ্ধ করে ব্যবসা হবেনা। তাই দোকানিরা বেশি কথা বলতে রাজি নন ক্রেতাদের সাথে। সেক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিলেও কিছু করার থাকবে না।
এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন এমন পরিস্থিতির উপরে কেমন প্রশাসিক কর্মসূচি করছেন জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বার বার জানান দেওয়া হচ্ছে। এমনকি দৈনন্দিন এসিল্যান্ডে বাজার মনিটরিং করছেন।
জানা যায়, গত ১৪ মে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করায় বাজারের এক বস্ত্রবিপনী কে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জরিমানা করা হয়।
এব্যাপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল মুনিম বলেন, উপজেলা প্রশাসন কে এবিষয় সম্পর্কে একাধিক বার অবগত করেছি। ক্রেতা-বিক্রেতা সরকারের নির্দেশনাবলী ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে চললে। কে কাকে করোনা উপহার দিয়ে যাবে বলা যাচ্ছে না।
বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুনেদ মিয়া জানান, বালাগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বণিক সমিতি বসে ঈদ পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার দাবি জানালে তাঁরা কোন পাত্তা দেয় নি। বণিক সমিতির কোন শক্তি নেই বিপনী বন্ধ করার, তাঁরা যদি বালাগঞ্জ কে বিপদের আশংকা থেকে মুক্ত করতে চাইতো তাহলে আশংকা মুক্ত থাকতো। এখন এর পরিস্থিতিতে মনে হয় আর বালাগঞ্জ বিপদ মুক্ত হবে না।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা বণিক সমিতি ও বালাগঞ্জ আইন প্রশাসনকে কথা দিয়ে ছিল, তাঁরা সামান্য পরিসরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপনী গুলো খুলবেন। কিন্তু বর্তমানে সরেজমিনে তার থেকে সম্পর্ণ রুপে উল্টো।