কমলগঞ্জে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি : কমছে মাস্ক ব্যবহার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২০, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও হাটবাজারে গাঁ ঘেষা ঘেষি করে লোকজন চলাচল করছেন। পূর্বের তুলনায় মাস্ক ব্যবহারের সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে বলে সচেতন মহলের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ভানুগাছ, শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সীবাজার, পতনঊষার, নয়াবাজার, রাজদিঘীরপারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে সন্ধ্যার পরও কিছু দোকানপাট খোলা ও জনসমাগম ঘটছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে হাটবাজারে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। বিকাল ৪টার পর ফার্ম্মেসী ব্যতীত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা থাকছে। সামাজিক দুরত্ব মোটেও মানা হচ্ছে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গাঁ ঘেষাঘেষি করে লোকজন চলাফেরা করছেন। বর্তমানে সচেতন মহল ব্যতীত অন্যরা মাস্ক ব্যবহারও বন্ধ করে দিয়েছেন। সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার সচেতনতা প্রথম প্রথম লোকজনের মধ্যে কিছুটা দেখা গেলেও এখন হাত পরিস্কারেরও প্রয়োজন বোধ করছেন না। সিএনজি-অটোরিক্সা সমুহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও গভীর রাত পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয়জন যাত্রী নিয়ে অবাধে চলাচল করছে। সিএনজি-অটোরিক্সা স্ট্যান্ড সমুহে রাত ৯ঘটিকা পর্যন্ত মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও দেখার কেউ নেই। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে হাটবাজার সমুহে অভিযান ও জরিমানা করলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন।
আলাপকালে ব্যবসায়ী নূরুল মোহাইমীন, আলমগীর হোসেন, সিদ্ধেশ্বরী ভট্টাচার্য্য সুমন, সিদ্দিকুর রহমান, প্রভাষক জমসেদ আলী, শিক্ষক নূরুল মোত্তাকীনসহ কমলগঞ্জের স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি বাড়লেও হাটবাজারে জনসমাগম বাড়ছে। অথচ মাস্ক ব্যবহার না করে ও সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার প্রচলন বন্ধ হয়ে পড়ছে। ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে বলে তারা দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, প্রতিনিয়ত উপজেলার হাটবাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধ সৃষ্টি হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।