সুনামগঞ্জে পাকা ধান গোলায় তুলতে ব্যস্ত কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২০, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের ছাতকে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় দ্রুত সময়ে এখানকার কৃষকরা মাঠের পাকা ধান গোলায় তুলতে সীমাহীন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, এবারের বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম বন্যার আশঙ্কা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হওয়ায় অনেকটা হেসে-খেলেই ধান তুলছেন। তবে করোনার কারণে শ্রমিক সংকট থাকায় ধান তুলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। পরে কেউ কেউ অধিক মজুরি দিয়ে ধান কেটে গোলায় তুললেও অধিকাংশ কৃষকের ধান উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা ও শ্রমিকরা স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমের শেষ সময়ে এসে হাওরে হাওরে চলছে বোরো ধান সংগ্রহের উৎসব। সোনালী ধানের মিষ্টি গন্ধে মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে কৃষক-কৃষাণিরা ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই আর গো-খাদ্য খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাড়াই-ঝাড়াই শেষ হলে ধান শুকিয়ে গোলায় তুলতে কৃষাণিরা ওই ধান খোলায় আর বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে রেখে শুকানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, হাওরে পাকা ধান এখন খুবই কম। পাকা ধান কম থাকায় শ্রমিক সংকটও অনেকটা কমে এসেছে। ফলে বাকি ধান কেটে ঘরে তুলতে তাদের খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়। আগাম বন্যার আশঙ্কা ও করোনার কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় ধান কাটা নিয়ে শংঙ্কিত ছিলেন সবাই। বিপদ অনেকটা কেটে গেছে। কৃষকরা প্রায় ৭৫ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
দ্রুত ধান কাটার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবিরসহ প্রশাসনের ব্যাপক সহযোগিতা ছিল এবং অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।