শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২০, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ওসি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানাধীন রশিদপুর রেল ষ্টেশন সংলগ্ন গত ১৯ এপ্রিল দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে রেলের কয়েক লাখ টাকার পাথর নষ্ট হওয়ার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ের এস্টেট বিভাগ থেকে ২৫ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হলেও জিআরপি থানা থেকে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জিআরপি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বলেছে ‘এ পাথর নষ্টের ঘটনায় তাদের কোন দায়িত্ব নেই’।
জানা যায় রেলওয়ের প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম গত ২২ এপ্রিল জিআরপি ওসি শ্রীমঙ্গলকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি দেন।
এর পারপ্রেক্ষিতে জিআরপি পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেনের নির্দেশে এসআই হুমায়ন আহমেদ ট্রলি নিয়ে কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন। এরপরই অজ্ঞাত কারণে জিআরপি পুলিশের আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সব প্রক্রিয়া থেমে যায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জিআরপি শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, এস্টেট বিভাগের চিঠির প্রেক্ষিতে তারা তদন্ত করে দেখেছেন ঘটনাস্থল রেল লাইন থেকে ১৫০ ফুট দূরে।
তিনি বলেন, এই দূরত্বে কোন ঘটনার দায় থানা পুলিশ। এই ঘটনায় বাহুবল থানায় মামলা হওয়ার কথা শুনেছি।
রেললাইনের পাথর ১৫০ ফুট দূরে নেয়া হলে রেল পুলিশ কী দায়িত্ব এড়াতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পিডাব্লিউ থেকে চিঠিতে যে দূরত্বের কথা বলা হয়েছে সে অনুসারে এটা আমাদের এখতিয়ারে পড়ে না। কত ঘণফুট ও মূল্যের পাথর খোয়া গেছে তাও উল্লেখ করা হয়নি চিঠিতে।
রেলের এস্টেট ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার তথ্য প্রমান দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে জিআরপি ওসকে চিঠি দেই। জানতে পেরেছি জিআরপি থানার ওসি তদন্তের নামে আসামিদের সঙ্গে সমঝোতা করে এখন ১৫০ ফুট দূরত্বের আইন দেখাচ্ছেন।
তিনি বলেন, রেল বিভাগের সম্পত্তি যেখানে যেভাবে পড়ে আছে- তার নিরাপত্তার দায়িত্ব জিআরপি পুলিশের। এটা যদি তাদের দায়িত্বে না পড়ে তাহলে রেল পুলিশের দায়িত্ব কি?