মৌলভীবাজারে ধান রাখার জায়গা নেই : সরকারিভাবে ক্রয়ের দাবি কৃষকদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০২০, ৩:৫১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের হাওরের এলাকায় ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে কিন্তু সেই ধান রাখার জায়গা নেই কৃষকদের ঘরে। তাই বাধ্য হয়ে কমমূল্যে স্থানীয় ফড়িয়া (দালালদের)কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারী দরে এখনই তাদের বোরো ধান ক্রয়ের দাবী অভাবী কৃষকদের। খাদ্য বিভাগ দেরী করে ধান ক্রয় করলে প্রকৃত কৃষকরা ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে ধান উৎপাদনে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন।
কৃষকদের প্রনোদনা দিতে সরকার ১হাজার ৪০টাকা প্রতি মন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও হাওরাঞ্চলের অধিকাংশ কৃষক সরকারের নির্ধারিত সময়ে ধান দিতে পারবে না। হাকালুকি হাওর এলাকা কালেসার ও বড়দল গ্রামের কৃষক ইরফান, মফিজ ও তাজুল বলেন, তারা ধারকর্জ করে এ ফসল ফলান তাই ধান গোলায় তোলার আগেই কর্জের টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হন। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কৃষকদের বাঁচাতে এখনই সরকারীভাবে ধান ক্রয় শুরু করার দাবি তাদের। ফলে কৃষকরা ধান উৎপাদনে আগ্রহী হবে আর দেশের খাদ্য চাহিদা পুরণ সম্ভব হবে। এতে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব শেষে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় অবদান রাখা সম্ভব হবে।
মৌলভীবাজারের ছয়টি হাওর এলাকার দরিদ্র কৃষকরা এখন মাত্র ৫-৬শত টাকা মন দরে স্থানীয় ফরিয়ার কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ধান ক্রয়ে দেরী হলে কৃষকের ধান চলে যাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে। এ কথা জানালেন স্থানীয় কৃষকরা।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার জানান, হাকালুকি হাওর এলাকার কৃষকের ধান কিছুটা শুকানোর পর ধান চাল সংগ্রহ কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হবে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জানান, এ বছর জেলায় ৫৩ হাজার ৫শত ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত হাওর এলাকার ২৬ হাজার ৭শত ৫৪ হেক্টর জমির শতকরা ৭৭ ভাগ ফসল তোলা হয়েছে। তবে হাওরের বাহিরে ২২ভাগ ফসল তোলা হয়েছে। এ দিকে জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়, চলতি বছর জেলায় ৬হাজার ৬শ’ ১৮ মে. টন ধান ২৬ টাকা কেজি দরে(মন ১০৪০ টাকা) ক্রয় করা হবে।