তাহিরপুরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বালি-পাথর উত্তোলন, আটক ৭
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
যাদুকাটা নদীর জালটেক এলাকায় অর্ধশতাধিক কোয়ারি করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বালি, পাথর উত্তোলন করছিল। খবর পেয়ে ৭ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। তবে মূল হোতারা রয়েছে অধরা।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তের বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীতে রবিবার ভোর রাতে ও সকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের খোয়াজ আলীর ছেলে আ: কাহার (২৫), মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার আলী (৫০), মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল (২৫) ও তার সহোদর আবিকুল (২০), নুর জামালের ছেলে রবিউল (২৮) ও ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের নুরুজ আলীর ছেলে সুবায়েল (২৫), ফারুক মিয়ার ছেলে আশিক নুর (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অমান্য করে জালরটেক ঘাটটিয়া এলাকায় রাতের আঁধারে পাড়া কাটার স্থানীয় গডফাদারদের নেতৃত্বে রোববার ভোর রাতে ও সকালে যাদুকাটার পাড় কেটে অবৈধভাবে কোয়ারি করে বালি ও পাথর উত্তোলন করার সময় তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই মো: বিল্লাল হোসেন নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অফিসারগণ রাতে ও সকালে পৃথক দুটি অভিযানে ৭ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এরপর দুপুরে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িঁর এএসআই মো: বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ৭ জনকেই রোববার বিকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে একই অপরাধে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আটক দু’জনকে পঞ্চাশ হাজার জরিমানা করেন।