বড়লেখায় প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় ব্যবসায়ী কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২০, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
বড়লেখার ব্রিকফিল্ড ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানকে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। হাবিব উপজেলার মহুবন্দ গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ডাইরেকশন অমান্য করে ৩ সপ্তাহের পরিবর্তে ৪ সপ্তাহ পর ব্যবসায়িক পার্টনার মোহাদ আহমদের প্রতারণা মামলার জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আলী আহসান তার জামিন না মঞ্জুর করেন। মামলার বাদির অভিয়োগ আসামী হাবিবুর রহমানের সেভেন টাইগার নামক বাহিনীর হুমকি-ধমকিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান হাবিব বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির উদ্দিন ওরপে মনু মিয়ার নিকট থেকে ভুমি লীজ নিয়ে এবিএস নামে ব্রিকফিল্ড ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে হাবিব উপজেলার শাহবাজপুর ইউপির বাসিন্দা মোহাদ আহমদের নিকট থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা নিয়ে তাকে এ ব্রিকফিল্ডের অংশীদার করেন। হাবিব ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে পার্টনার মোহাদ আমহদকে মুনাফা থেকে বঞ্চিত করেন ও বিনিয়োগকৃত সমুদয় টাকা আত্মসাতের অপতৎপরতা চালান। গত ১৩ জানুয়ারী মুল টাকা ফেরৎ চাইলে হাবিবুর রহমান সেভেন টাইগার নামে গঠিত তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে মোহাদ আহমদকে প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি দেন। গত ২২ জানুয়ারী মোহাদ আহমদ ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্রিকফিল্ড ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান ও অপর পার্টনার ফয়সল আহমদকে ২ নং আসামী করে বড়লেখা থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হাইকোর্ট হাবিবকে জামিন না দিয়ে চীফ জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসর্মপনের জন্য ৩ সপ্তাহের ডাইরেকশন দেন। গত ১৭ মার্চ এ ডাইরেকশনের মেয়াদ শেষ হয়। ১৯ মার্চ তিনি জামিন নিতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রতারণা মামলার বাদি মোহাদ আহমদ অভিযোগ করেন হাবিবুর রহমানের সেভেন টাইগার নামক নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রাণনামের হুমকি-ধমকিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল খালিক সোনা জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতারণা মামলার আসামী বড়লেখার ব্রিকফিল্ড ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান গত বৃহস্পতিবার চীফ জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।