বড়লেখায় রাস্তা জবর দখল, অত:পর গ্রামবাসীর অপসারণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের কটালপুর ষ্টীলব্রিজ সংলগ্ন সদ্য সংস্কারকৃত একটি গ্রামীণ রাস্তার সামনের অংশ জবর-দখলের চেষ্টা স্থানীয় মেম্বারের উপস্থিতিতে পন্ড করে দিয়েছে এলাকাবাসী। শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস সহিদ, ফখরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি মেম্বার নেওয়ার আলীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসী গাছ-পালা ও বাঁশের বেড়া অপসরাণ করেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাস্তা সংলগ্ন ভুমি মালিক দিলিপ দাস, সুদিপ দাস ও শুভ্র দাস রাস্তায় গাছ রোপন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে জবর দখলের চেষ্ঠা করে।
জানা গেছে, আজিমগঞ্জ-কানুনগোবাজার এলজিইডি রাস্তার কটালপুর ষ্টীল ব্রিজ সংলগ্ন সংযোগ সড়ক দিয়ে ঝগড়ি, চরকোনা ও পুর্ব পাটনা গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। রাস্তার পাশ দিয়ে ধামাই নদী বহমান। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড ধামাই নদী খনন করায় নদীর মাটি তুলে কটালপুর-ঝগড়ি রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও উচু করা হয়। রাস্তার সামনের একাংশে দিলিপ দাস, সুদিপ দাস ও শুভ্র দাসের বসত বাড়ির সীমানা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তারা এলাকাবাসীর অগোচরে ২-৩ গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় মাত্র ২-৩ ফুট ফাঁকা রেখে সিংহভাগ রাস্তায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা রোপন করে বাঁশের বেড়া দিয়ে জবর-দখল করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করে।
গ্রামের বাসিন্দা নছির উদ্দিন, মতিলাল দাস, রনজিৎ কুমার দাস, প্রভাষ দাস, ক্ষীপক দাস প্রমুখ জানান, যুগ যুগ ধরে এ রাস্তায় তারা চলাচল করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী খনন ও রাস্তাটি সংস্কার করেছে। হঠাৎ দিলিপ দাস গংরা কাউকে কিছু না বলেই রাস্তা দখল করে গাছ রোপন ও বেড়া দেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ইউপি মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গ্রামবাসী গাছপালা ও বেড়া অপসারণ করেছেন।
দিলিপ দাস, সুদিপ দাস ও শুভ্র দাস জানান, অতীতে জনস্বার্থে তারা রাস্তার জন্য ভুমি দিয়েছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভেয়ারকে প্রভাবিত করে কিছু লোক উদ্দেশ্যমুলকভাবে তাদের মালিকানাধীন বেশি ভুমি রাস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা রাস্তায় গাছ রোপন ও বেড়া দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস সহিদ ও ফখরুল ইসলাম জানান, ইতিপুর্বে এই রাস্তায় সরকারের টাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। হঠাৎ করে রাস্তায় গাছপালা রোপন ও বেড়া দেয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা দাঁড়িয়ে থেকে গাছপালা ও বেড়া অপসারণ করে দিয়েছেন।