স্বপ্নের ইউরোপ যাত্রা : নিখোঁজ সিলেটের নুরুল, উৎকণ্ঠায় পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ইউরোপ যাত্রার স্বপ্নে লিবিয়া হতে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগর উপকূলে পৌছার ১৫ দিন পরও সিলেটের বিয়ানীবাজারের নুরুল হক (৩০) নামের এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। এতে দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার-পরিজনরা। নিখোঁজ নুরুল হক সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের বারীগ্রাম এলাকার মৃত রহমত আলীর পুত্র।
নিখোঁজ নুরুল হকের ছোটভাই আয়নুল হোসেন জানান, নুরুল হক দেশে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাবাহীন পরিবারে মাসহ তিন ভাইয়ের সংসারের হাল ধরতে ইউরোপে যাবার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বিয়ানীবাজার চারখাইয়ের সাচান এলাকার ও মাদারীপুরের দুই দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুক্তিতে বছর খানেক আগে লিবিয়া যান নুরুল।
দীর্ঘদিন লিবিয়াতে অবস্থান করার পর গত ৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় সমুদ্রপথে ইতালি যাবার জন্য ট্রলারে চড়েন তিনি। ট্রলারে চড়ার পূর্বে নুরল বাড়িতে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছে বলে জানান নুরুলের ছোটভাই আয়নুল হোসেন।
আয়নুল হোসেন আরো জানান, নুরুলের সাথে ওইদিন দুই ট্রলারযোগে আরো ৫০-৬০ জন যাত্রী সাগরপথে ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে ইতালিগামী ট্রলার দুটি ইতালি সীমান্তে পৌছালেও টানা ১৫ দিন ধরে নুরুল হকের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। এতে পরিবার-পরিজনদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও শঙ্কা কাজ করছে। কেননা ট্রলারে চড়ার পর থেকে এখনো তিনি বাড়িতে যোগাযোগ করেনি।
ভাইয়ের খোঁজ নেয়ার জন্য সম্প্রতি মাদারীপুরের দালালের সাথে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হন আয়নুল হোসেন। তবে বিয়ানীবাজার চারখাইয়ের অন্য আরেক দালাল আয়নুল হোসেনকে জানান- নুরুল হকসহ ৫০-৬০ জন যাত্রী বহনকারী দুটি ট্রলার ইতালি সীমান্তে পৌছেছে। তবে নুরুলসহ আরো বেশ কয়েকজনের কোন খবর আমরা পাচ্ছি না। দুয়েকদিন অপেক্ষা করুন- খবর পাওয়ার সাথে সাথে নুরুল হকের পরিবারকে জানানো হবে।
আয়নুল হোসেন আরো জানান, মাস দুয়েক আগে বড়ভাই ফয়জুল হকের মৃত্যু এবং আর এখন আরেক ভাই নুরুল হকের নিখোঁজের সংবাদে মাসহ আমাদের পরিবার-পরিজনরা দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। এসময় তিনি নুরুল হকের খোঁজ পেতে ইতালির সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশি এবং ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেছেন।