বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর পানি, প্রস্তুত প্রশাসন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বহমান সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টায় ডিসির পক্ষ থেকে বন্যার সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া জানান, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতে সুরমা, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, খাসিয়ামারা, চেলাসহ বিভিন্ন সীমান্ত নদ-নদীর পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার ৬ টায় প্রধান নদী সুরমার পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রবল বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ক্রমাগত পানি বাড়ায় এরই মধ্যে জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

শক্তিয়ারখলা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর-আনোয়রপুর-আনোয়ারপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুই উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই সড়কটি (দূর্গা অংশে) পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত হলেই বর্ষা মৌসুমে সাময়িক তলিয়ে যায়।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর-বাদাঘাট, বাদাঘাট-সোহালা, বাদাঘাট-টেকেরঘাট-বাগলী সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের একাধিক স্থানে ভাঙন ও পানিতে ডুবায় জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সবাই সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় তিন হাজার ৭শ ৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকা ও সব উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।