সততা, পরিশ্রম, ধৈর্য্য, বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে একজন তরুন উদ্যোক্তা সোলেমান পাটুয়ারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১:০৬ অপরাহ্ণ
তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, (শ্রীমঙ্গল) মৌলভীবাজার থেকে:
জীবনে চলার পথে আসে নানা বাঁধা। পথচলার শুরু হতে না হতেই থমকে দাঁড়াতে হয় কখনও কখনও। বুদ্ধিমত্তা আর কৌশল প্রয়োগ করে পেরিয়ে যেতে হয় সেই বাঁধা। অক্লান্ত পরিশ্রম বয়ে আনে সেই পথে সফলতা। আর এই পথের শেষ দেখতে যারা এগিয়ে যায় তারা অন্য সবার থেকে বেশী আতœবিশ্বাসী হয়। এগিয়ে থাকে তারুন্যের যাত্রায়। সেই সাথে এই মানুষগুলো হয় অন্যের জন্য অনুপ্রেরণা। তেমনই একজন তরুন উদ্যোক্তা সোলেমান পাটুয়ারী।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শহরটি একটি পর্যটন শহর। চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত। শ্রীমঙ্গল শহরে বসবাসকারী সোলেমান পাটুয়ারী নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। কয়েক বছর আগেও এত কম্পিউটার আর অনলাইনে আবেদন করার জন্য তেমন একটা দোকান পাট ছিলো না। শ্রীমঙ্গল শহরে তেমন লক্ষ করা যায় নি। আর গ্রামে ত ছিলই না। দেশে তথ্য প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এর সাথে চতুর্দিকে গড়ে উঠেছে কম্পিউটার বা অনলাইন আবেদন ভিত্তিক দোকানপাট। গত ৭ বছর আগে তেমনিভাবে শ্রীমঙ্গল শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত সকলের পরিচিত সোনালী মার্কেটে এম এম কম্পিউটার গ্যালারি দোকানটি গড়ে তুলে ছিলেন সোলেমান পাটুয়ারী। ধীরে ধীরে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল শহরে এম এম কম্পিউটার নামের প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার প্রান্তে। সোলেমান পাটুয়ারী ব্যবসার পাশাপাশি মানবকল্যাণে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং মানবিক কাজে মনপ্রাণ উজাড় করে নিজেকে আত্তœনিয়োগ করে তার কর্মকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিচ্ছেন। সাক্ষাৎকারে সোলেমান পাটুয়ারী জানান অনেক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদনের জন্য আসে অনেকেই দরিদ্র পরিবারের হয়ে থাকে যারা টাকা দিতে পারে না তাদের কাছ থেকে কম টাকায় আবেদন করিয়ে তিনি সহযোগীতা করেন এবং অনেকের কাছ থেকে টাকাও নেন না। তিনি জানান আমি শুধু আমার ব্যবসাকে প্রধান্য দেই না এর সাথে মানবিক , সামাজিক দিকগুলোও খেয়াল করি।
কয়েকজন নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগে যানায় এম এম কম্পিউটার গ্যালারি দোকানে সবচেয়ে ভাল সেবা পাওয়া যায় এবং দ্রুত সব কাজ ভালভাবে করা সম্ভব হয়।
এম এম কম্পিউটার দোকানে বিভিন্ন চাকুরীজীবি, পেশাজীবীসহ অন্যান্য সকল শ্রেণী পেশার লোকজন এখানে অনলাইন ভিত্তিক কাজ করে থাকেন। ব্যাংক,বিমা,পল্লী বিদ্যুৎ সহ সরকারি বেসরকারি অনেক কাজ এখানে করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এম এম কম্পিউটারের দোকান দুটি। দুটি দোকানে মোট ৬জন কর্মচারী রয়েছে। সোলেমান পাটুয়ারী জানান তার দোকানে সকল ধরনের কম্পিউটার সামগ্রী পাওয়া যায়। দোকানে এখন ফটোস্ট্যাট করা হয়, সাদা কালো ও রঙ্গিন প্রিন্ট করা হয়। তাছাড়া দোকানে অনলাইনের সকল প্রকার কাজ করা হয়।