নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়?
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০১৭, ৩:১৩ অপরাহ্ণ
শাহরিয়ার রশিদ কয়ছর:
দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের চিত্র অবাক করছে পুরো দেশের মানুষকে। প্রায় প্রতিদিন নারী ও শিশু নির্যাতনের খবর উঠে আসে মিডিয়ায়। কোন কোন এলাকায় রক্ষক ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষিতা ও তাদের পরিবারকে হুমকি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিগৃহীত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩৭১জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ১২৪ জন। যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছে ১২৮জন। এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছে আরো ৩০জন।নির্যাতনের সংখ্যা কি নেহায়েত কম অবশ্যই না। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও নারি নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
২০১৬ সালে সিলেটের বদরুল খাদিজার ঘটনা কারো অজানা নয়, সিলেট এম সি কলেজ ক্যাম্পাসে কথিত প্রেমিক বদরুল এর হাতে হামলার শিকার হন খাদিজা। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় থাকে, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় প্রাণে বেছে গেলেও এখনো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হয়নি খাদিজার।
শিশু রাজন হত্যাকান্ডসহ বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে হতবাক করেছিল। পরকীয়ার অভিযোগে ধর্ষিতা ও তার মাকে ধরে এনে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনা গত দুই দিনের বেশ আলোচিত বিষয়। রাজধানীর বনানীতে গত ৫ জুলাই জম্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তরুণীকে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ করা হয়।গত ৭ জুলাই সাভারের সোবহানবাগে ডিবি পুলিশ অফিসের ৫০গজ সামনে একটি কলেজের অফিস কক্ষে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়।এমন ঘটনা খবরের কাগজ গুলোর নিত্যদিনের।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৬০ টি,ফেব্রুয়ারি মাসে এক হাজার ১৭১টি,মার্চ মাসে এক হাজার ৪৭৭টি,এপ্রিলে এক হাজার ৩৮৬টি,মে মাসে এক হাজার ৭১৯টি এবং জুন মাসে নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ৪২১টি।
নারী ও শিশু ধর্ষণের বর্তমান চিত্র আতঙ্কিত করে তুলেছে সাধারণ মানুষকে।
দিনদিন যেনো এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে,অভিবাকেরা সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন। মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধো যথেষ্ট নয়। নারী এবং শিশু নির্যাতন বন্ধে অনেক চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে সরকার এমনটাই মনে করছেন জনসাধারণ। এইসব ঘটনা বন্ধে দ্রত কার্যকরী সিদ্ধান্ত না নেয়া হলে দেশে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে নারী ও শিশু নির্যাতন।