শ্রীমঙ্গলে ৭দিন ধরে কাঁদার সঙ্গে যুদ্ধ করছে হাতিটি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০১৭, ৯:৪৮ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চালকের অদক্ষতায় ট্রাক থেকে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়া ‘রাজলক্ষী‘ নামের এই বিশাল আকৃতির হাতিটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছেনা। গত সাত দিন ধরে কাদায় পড়ে বেঁচে থাকার সর্বশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজলক্ষী। তাকে উদ্ধারে মালিক, সরকারী কর্মকর্তা, বন বিভাগের লোকজন আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে রাজলক্ষীকে উদ্ধারের। এরই মধ্যে রাজলক্ষী খাওয়া দাবার বন্ধ করে দিয়েছে এবং এখন তার খাবারের যোগান হিসেবে দেয়া হচ্ছে স্যালাইন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজলক্ষীকে উদ্ধারে সম্মিলিত ভাবে মালিক, ভেটেরিনারী সার্জন, সরকারী কর্মকর্তা, বন বিভাগের লোকজন আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
এদিকে জেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. নিরোদ চন্দ্র সরকার জানান, রাজলক্ষী নামক হাতির দুর্ঘটনা জনক ইনজুরি কারণে এমনটা হতে পারে। লক্ষণ তেমন ভাল নয় বলে তিনি জানান।
জানাযায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম হাতিটির মালিক। তিনি জানান, প্রায় ১৫ মাস পুর্বে নরসিংদীর কাজল খান নামের এক ব্যাক্তির কাছে হাতিটি লিজ দিয়ে ছিলেন। শর্ত অনুযায়ী মালিকের যখন দরকার পড়বে তখন তিনি হাতিটি ফিরত দিবেন এবং কোথাও যাতাযাত করলে পায়ে হেটে যাতাযাত করবে। সেই মালিকে প্রযোজন অনুযায়ী হাতিটি ফেরত দেওয়ার জন্য কাজল খান গত শুক্রবার ব্রাম্মনবাড়িয়া থেকে ট্রাক যোগে হাতিটি নিয়ে রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডের ৫নং পুল এলাকায় নামান এবং মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্থরকালে হাতি অসুস্থ্য দেখে লিজ নেওয়া ব্যাক্তি কজল খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাড়ীতে দীর্ঘক্ষন থাকার কারণে এমন হতে পারে বলে তিনি চলে যান। সিরাজুল ইসলাম জানান. গাড়ী থেকে নামানোর সময় হাতিটি মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে। আর সেই থেকেই সে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। হাতিটি পিছনের অংশ তুলতে পারছেনা। কমরে আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে।
মৌলভীবাজার জেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. নিরোদ চন্দ্র সরকার জানান, রাজলক্ষী নামক হাতির ওজন প্রায় ৩ হাজার কেজি হবে। মাদ্রী এ হাতিটি বয়স প্রায় ৩৫ বছর হবে। যার রেজি: ৩৫৫/২১৩। তিনি আরো জানান. হাতির দুর্ঘটনা জনক ইনজুরি কারণে এমন টা হতে পারে। তিনি জানান, তার ধারনা হাতিটির মেরুদন্ডে আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে। তার পেছনের ডান পা টি উঠাতে পারছেনা। বুধবার সন্ধার পর থেকে সে খাবার বন্ধ করে দিলে হাতিটিকে খাবারের যোগান হিসেবে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোাগাযেযাগ রাখছেন হাতিটিকে কি ভাবে সুস্থ্য করে তোলা যায়।