এমসি কলেজের জন্য জুলাই মাসটি অপয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৭, ৯:১৬ অপরাহ্ণ
সুহেল আহমদ চৌধুরী:
সিলেটের বাতিঘর এমসি কলেজের জন্য জুলাই মাসটি অপয়া বললে মনেহয় অত্যুক্তি হবে না! পাঁচ বছর আগের ১২ জুলাই এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ইতিহাসে একটি বিভীষিকাময় দিন ছিল। অনেকের চোখের অশ্রু ঝরার দৃশ্য গণ মাধ্যমে স্থান পায়। শিক্ষা জীবনের স্মৃতিময় এ বিদ্যাপীঠের দুর্দশা অবলোকন করে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর হৃদয়ের রক্তক্ষরণের বর্ণনা কোন মিডিয়ায় স্থান দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি কেননা তা শিক্ষার্থী মাত্রই অনুমানযোগ্য ছিল। পাঁচ বছর একদিন পর আজ সেই বিভীষিকাময় দিনটি আবার ফিরে এসেছে । সেই একই ব্লকে একই আদর্শের কতিপয় নরকের কীট কর্তৃক!
ওদের সাথে এই বাতিঘরটির কি শত্রুতা থাকতে পারে আমার জানা নেই। ওরা অনেক জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়, কারণ তাদের বড় ভাইয়েরা তা দিয়ে সাহসের পরীক্ষা নেয়। কিন্তু বাতিঘরের বাতি নিভিয়ে দিয়ে কিসের পরীক্ষা নেয়? হে মসনদের অধিপতিগণ আপনারা জাগ্রত থেকে ঘুমের ভান করেন, তাই এই বাতিঘরের আর্তনাদ আপনাদের কর্ণকুহরে পৌছবে না। নিজের ভেতরের মানবিক সত্তাটিকে একটি বার জাগ্রত করার চেষ্টা করে নিজেই নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখেন এই আধিপত্য কি খুব জরুরী ছিল? কেবল দাপটের জন্য বাতিঘরটি ভেঙ্গে, পুড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা পোষণকারীদের কোন আদর্শিক চেতনা থাকতে পারে ? ওদের দেশ ও জাতির শত্রু বলতে আমার দ্বিধা নেই। তাদের মানুষের অবয়ব থাকতে পারে কিন্তু মানুষ বলতে পারি না। এই হায়েনাদের জন্য কোন বিবেকবান মানুষের মায়া থাকতে পারে না । এদের ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
(সুরমানিউজ এর পাঠককলামে প্রকাশিত সব লেখা পাঠক কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত। এই সংক্রান্ত কোনো ধরনের দায় সুরমানিউজ বহন করবে না। সুরমানিউজ এর কোনো লেখা কেউ বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করতে পারবেন না।)