বালাগঞ্জে লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি : দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত রোগসহ গোখাদ্য সংকট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০১৭, ৪:২৪ অপরাহ্ণ
রজত দাস ভুলন, বালাগঞ্জ থেকে:
বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫৭টি গ্রাম ও ৬৪০৩টি পরিবারসহ লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি রয়েছে। কিছুটা পানি কমতে শুরু করেছে দেখা দিচ্ছে পানি বাহিত রোগ, গোখাদ্য সংকট সহ বিশুদ্ধ পানি। বন্ধ রয়েছে অর্থশত শিক্ষা প্রতিষ্টান। বালাগঞ্জ উপজেলার সার্র্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। ৬ ইউনিয়নে লক্ষাধিক লোক পানি বন্দি হয়ে রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেষা বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্মুখের রাস্তা পানি উপজেলা কমপ্লেক্স, হাসপাতালরোড ও বালাগঞ্জ বাজারে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের মূল সড়ক ও অফিসপাড়ার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বালাগঞ্জ বাজারের ডাকবাংলা ও পূর্ববাজার সড়কে এখনও পানি রয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বালাগঞ্জের করচারপাড় , রাধাকোনা এলাকায় কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে যাওয়ায় উপজেলা সদর সহ উপজেলার আশিভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় দেখা দেয় বন্যা। বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অনিসুর রহমান জানান,পানিটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় পানি বাহিত রোগ, ডায়রিয়াসহ ভাইরাস জ্বরের রোগীর সংখ্যাই বেশী। তাই পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বিতরন সহ যাতে ডায়রিয়া সহ পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ৬টি মেডিক্যাল টিম করছে। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সবরকমের সাহায্য সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া অনেকেই বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন। মোট কথা সবার সহযোগীতা নিয়ে বালাগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব।
বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদাল মিয়া বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের আশি ভাগ এলাকা সহ লক্ষাধিক লোকই পানি বন্দি হয়ে জীবন যাপন করছে। এপর্যন্ত সরকারি ভাবে তিনধাপে ৩৫ টন চাল ও নগদ ৬১ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্ধ এসেছে। তাছাড়া অনেক সমাজসেবী ও বিত্তশালী প্রবাসী অনেক সংগঠনও বন্যার্তদের সাহায্য সহযোগীতা করেছেন।
উল্লেখ্য যে বালাগঞ্জ নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর, বোয়ালজুড়, দেওয়ানবাজার, পশ্চিম গৌরিপুর ,বালাগঞ্জ ও পূর্বগৌরিপুর সহ ৬টি ইউনিয়নে ১৫৭টি গ্রামই ক্ষতিগ্রস্থ। অর্থশত শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্যার কারনে বন্ধ রয়েছে। ৬৪০৩টি পরিবার প্রায় ৪৩০৩০ জন জনসংখ্যা, মোট ফসলি জমি ২৬৫ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি ১৭১৬৪ হাস মুড়গী গবাদিপশু ১৪৪৩ টি। ৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১২টি পরিবার ৬১ জন বসবাস করছে। বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে অনেক রাস্তাঘাট ।