সিলেটে বিকাশে প্রতারণা : র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
র্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে বিকাশে মাধ্যমে প্রতারণার দায়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সিলেটের ইসলামপুর বাজার এলাকায় প্রতারণার জন্য একত্রিত হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৭টি মোবাইল সেট ও বিকাশের ট্রানজেকশন রেজিস্টার জব্দ করা হয়। তাঁদের কাছে মোবাইলে ধারণকৃত ট্রানজেকশন রেজিস্টারেরও ছবি পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার পূর্ব বীরগাঁওয়ের মো. সালেক উদ্দিনের ছেলে মো. হোসাইন আহমদ মিশেল (২১), একই গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে মো. মুহিদুল ইসলাম জিহাদ (১৮), সিলেট জেলার জালালাবাদ থানার শেখপাড়া গ্রামের মো. আলীর ছেলে মো. নাইম আহমেদ।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণাকারীরা জানায়, প্রতারক চক্রের ৩-৪ জনের ১টি দল থাকে যারা বিভিন্ন বিকাশের দোকানে গিয়ে কৌশলে বিকাশের ডেইলী ট্রানজেকশন রেজিস্টার থেকে যে যে মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠানো হয় তার ছবি তুলে নিয়ে যায়। মোবাইলে ধারণকৃত ছবিগুলো তাদের কথিত বস নাজমুল ওরফে শোভনের মোবাইলে পাঠায়। পরবর্তীতে নাজমুল ঐ নাম্বারে ১টি ভুয়া মেসেজ পাঠায় যাতে মোবাইল ইনবক্সের মেসেজে টাকার পরিমাণ দেখানো হয় কিন্তু বিকাশ একাউন্টে কোন টাকা জমা হয় না, যা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারে না। পরবর্তীতে ঐ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে আপনার মোবাইলে ভুলে দুইবার টাকা চলে গেছে এবং এই বলে টাকা ফেরত চায়। সাধারণ জনগণ সরল বিশ্বাসে টাকা ফেরত দেয়। পরবর্তীতে যখন দেখে যে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা চলে গেছে তখন বুঝতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
এই চক্রটি ক্যাশ আউট, মানি ট্রানজেকশন, সেন্ড মানি, পেমেন্ট শব্দগুলোর সাথে সাধারণ জনগণ সম্পূর্ণ অবগত না হওয়ায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতারণা করে। সম্পূর্ণ কাজটি তারা সুকৌশলে করে থাকে। এই প্রতারক চক্রটি বৃহত্তর সিলেটসহ ঢাকা ও বিভিন্ন শহরে তাদের প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে বলে র্যাব জানায়। সাধারণ মানুষ এভাবে প্রতিনিয়ত এরূপ চক্রের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে, যা কোনভাবে কাম্য নয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে এসএমপির শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।