বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১-এ হবে সোনার বাংলা – অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ২:০৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন মানুষের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। রোগ প্রতিরোধের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সবাইকে জীবন-যাপন করতে হবে। তিনি বলেন, ডা. আব্দুল মালিক একজন বড় মাপের চিকিৎসক। তিনি যৌবনকাল থেকে এখন পর্যন্ত আন্তরিকতার সাথে হৃদরোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তিনি অনেক বড় বড় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকেও হৃদরোগের চিকিৎসা প্রদান করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে হয়ে গেছে। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির উচ্চশিখরে পৌঁছে যাবে। আমাদেরকে নিরাশার মধ্যে ডুবে থাকলে হবে না। আমাদের মনে- প্রাণে উচ্ছাশা পোষণ করতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে অত্যাধুনিক ক্যাথলেবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে আয়োজিত এক সভায় এ কথাগুলো বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সভাপতি ডা. এম.এ রকিবের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু তালেব মুরাদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:), ডা. আব্দুল মালেক, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ডা. শায়লা খাতুন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহা-সচিব অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আওয়াল রিজভী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেন, বর্তমান সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মঞ্চে উপবিষ্ট অর্থমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, তিনি শুধু সিলেট বাসীর নয় বিশ্ববাসীর একজন বরেন্য নেতা। হার্ট ফাউন্ডেশনকে পূর্ণতা এনে দিতে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার অনুরোধ জানান।
ডা. আব্দুল মালিক বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি অনেকের অবদানে আজ এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। সরকারের পাশাপাশি আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা ও দেশের সচেতন নাগরীকবৃন্দ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে রোগপ্রতিরোধে সচেতন হতে হবে।
হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, আগামী দুই এক বছরের মধ্যে সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে সার্জিক্যাল ওয়ার্ড চালু করা হবে। তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন, তার সময়কালের মধ্যেই যেন এই প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণতা লাভ করতে পারে।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আওয়াল রিজভী বলেন, সিলেটে বহু প্রত্যশিত ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হল যা সিলেট বাসীর জন্য একটি গৌরব উজ্জ্বল ঘটনা। তিনি বলেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
জাতীয় অধ্যাপক শায়লা খাতুন বলেন, আমাদের আয়ুষ্কাল বেড়ে গেছে। আগে যেসব অসুখ-বিসুখে মানুষ মারা যেত এখন আর সেই অবস্থা নেই। কেননা এখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু চিকিৎসা করলে হবে না মানুষদের রোগপ্রতিরোধ সর্ম্পকে পরামর্শ দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি বলেন, বিদেশে যে টাকা খরচ করে চিকিৎসা করা হয় তার চেয়ে কম খরচে বাংলাদেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে আমিনুর রহমান লসকর ক্যাথল্যাব স্থাপন ও হাসপাতালের কার্যক্রম বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন।