বালাগঞ্জে ভাতিজার হাত ধরে গ্রাম পুলিশের স্ত্রী ঘর ছাড়া
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জে ভাতিজার হাত ধরে এক গ্রাম পুলিশের স্ত্রী ঘরছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধুর তিন সন্তান এখন তাদের মায়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। মায়ের সন্ধান না মিলায় অসহায় হয়ে পড়ছে তারা। তাদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটছে বলে তাদের গ্রাম পুলিশ পিতা দাবী করেছেন। আর নিজ সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্ত্রীর সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিচ্ছেন পরকীয়ায় আসক্ত গৃহবধুর স্বামী। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্ধা গ্রাম পুলিশ সদস্য আছমত আলীর সাথে প্রায় ১৮ বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছান্দাই জৈনপুর গ্রামের বিরাই মিয়ার মেয়ে জেলি বেগম। জেলি বেগম ও আছমত আলী দম্পত্তির ঘরে দুই কন্যা ফারহানা (১৫), রুকসানা (১১) ও জাহাঙ্গীর (৯) নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। চলতি বছরের ৪ জুন দিবাগত রাতে পরিবারের সকলের অজান্তে জেলি বেগম অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। জেলির স্বামী গ্রাম পুলিশ সদস্য আছমত আলী জানান, তার চাচাত ভাইয়ের (আছমত আলীর) ছেলে সিএনজি চালক শাহিন আহমদের সাথে (৩০) দির্ঘ দিন ধরে জেলি বেগমের পরকীয়া ছিল। পরকীয়ায় কারনে শাহীন জেলিকে পালিয়ে নিয়ে গেছে বলে তিনি দাবী করেন। পরবর্তীতে আছমত আলী বালাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ জেলি বেগমের সন্ধান বের করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে আছমত আলী অভিযোগ করেছেন। স্ত্রীকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগে চার জনকে অভিযুক্ত করে ৩১ অক্টোবর আছমত আলী সিলেটের পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত আবেদন দেন। গ্রাম পুলিশ সদস্য আছমত আলী অভিযোগ করে বলেন, দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন সহ অত্রাঞ্চলে মাদক বিক্রেতা সহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশকে সহযোগীতা করার কারনে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল নানা কুটকৌশলে আমার চাচাত ভাইয়ের ছেলের সাথে আমার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিতে সহযোগীতা করেছে। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাসেও আমার সন্তানদের মায়ের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। এতে সন্তানেরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। তাদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটছে। লোক লজ্জার কারণে বিষয়টি এতো দিন গোপন রেখেছি।